আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
জীবিত এক হজযাত্রীকে পুলিশ প্রতিবেদনে মৃত দেখানোর ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার ওসি মোশাররফ হোসেন তরফদার।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টির ওপর ২৩ জুলাই রোববার শুনানি হয়। আদালতে ওসির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শাহরিয়ার কবির বিপ্লব। বাসস
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কায়সার জাহিদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, আখাউড়ার বাসিন্দা আজাদ হোসেন ভূঞার হজে যাওয়ার কথা ছিলো ১৮ বা ২৯ জুলাই। কিন্তু ২০ জুন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পুলিশ প্রতিবেদনে তাকে মৃত বলে দেখতে পাওয়া যায়। পরে তিনি এ বিষয়ে রিট দায়ের করেন। এরপর ১৭ জুলাই সোমবার আদালত ওসিকে তলব করে রুল জারি করেন। আদেশে ২৩ জুলাই হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
রুলে পুলিশ প্রতিবেদনে জীবিত ব্যক্তিতে মৃত দেখানো কেন বেআইনী হবে না- তা জানতে চেয়েছে আদালত। স্বরাষ্ট্র, ধর্ম, আইজিপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসপি ও আখাউড়া থানার ওসিকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওসি’র আইনজীবী বলেন, মোট ১৯৯ জনের পুলিশ প্রতিবেদনের জন্য আখাউড়ার ওসির কাছে পাঠানো হয়। ওসি ১০ জন এসআই ও একটি ফাঁড়িকে প্রতিবেদন দিতে দায়িত্ব দেন। সবাই রিপোর্ট দিলে এসআই আবুল কালাম আজাদ টেলিফোনে কম্পিউটার অপারেটরকে প্রতিবেদন দেন। যেখানে একজন মৃত ও আরেকজনের বিষয়ে দুটি মামলা আছে বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু অপারেটর যার বিরুদ্ধে মামলা আছে তার স্থলে মৃত ব্যক্তির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
আইনজীবী বিপ্লব বলেন, আবেদনে ওসি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।