আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
নাদুস-নুদুস চেহারা। ফুটফুটে সুন্দর শিশুটির নাম ইফচান। মাত্র দুই বছর বয়সী এই শিশুটি বিরল এক রোগে আক্রান্ত। নাম না-জানা রোগে আক্রান্ত শিশুটিকে নিয়ে দিশেহারা তার পরিবার। অভাব-অনটনের সংসারে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে শিশুটির ভালো চিকিৎসাও করাতে পারছেন না তারা। ফলে সুচিকিৎসার অভাবে শিশুটি এখন মৃত্যুর মুখে। হতভাগ্য শিশু ইফচান হোসেনপুর উপজেলার নামা সিদলা গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক ইয়াসিনের ছেলে।
পরিবার জানায়, জন্মের কিছুদিন পর খিচুনী দেখা দেয় ইফচানের। প্রথমে এটিকে তারা তেমন কোনো সমস্যা মনে না করলেও পরে আরো বেশ কয়েকবার তার একইভাবে খিচুনী হয়। এ পরিস্থিতিতে শিশুটিকে ময়মনসিংহ সরকারি শিশু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। আইসিইউতে ১ মাস ৫দিন রাখা হয় শিশু ইফচানকে। এর পর থেকে শিশুটির মাথায় বিরল আকৃতি সমস্যা দেখা। মাথাটি নরম হয়ে ক্রমশ বড় আকারে দোতলার মতো হয়ে যাচ্ছে। মা-বাবা শিশুটির আরোগ্য লাভের আশায় বিভিন্ন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলেও কোনো ওষুধেই কাজ হচ্ছে না। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকেরা শিশু ইফচানের সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারেননি।
ইফচানের মা-বাবা জানান, প্রথম পর্যায়ে খিচুনী শুরু হওয়ার সময় ইফচানের ওজন ছিল মাত্র ৭৫০ গ্রাম। বর্তমানে তার ওজন ১৬ কেজি। গুরুতর অসুস্থ শিশুটির বয়স ২ বছর হলেও সে কথা বলতে পারে না। শুধু উ….আ…. শব্দ করতে পারে।
শিশুটির মা রুমা আক্তার জানান, এখনও ৭দিন পর পর ইফচানের শরীরে ঠাণ্ডা বা নিউমোনিয়ার মতো দেখা দেয়। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলেও কোনো ফল পাওয়া যায় না।
ইফচানের বাবা নির্মাণ শ্রমিক ইয়াসিন বলেন, আমার একমাত্র সন্তানকে এ যাবৎ চিকিৎসা করিয়ে তিন লাখ টাকা শেষ করেছি। কিন্তু কোনো ফল পাইনি। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে এখন আর এই বিরল রোগের চিকিৎসা করানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
শিশু ইফচানকে বাঁচাতে তার সুচিকিৎসার জন্য তিনি সরকারসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সূত্র : বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু ইফচান [কিশোরগঞ্জ নিউজ, ৭ আগস্ট ২০১৭]