বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যেভাবে ছুটি কাটান

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

রাজনীতিবিদদের কাজটাই হলো ভীষণ চাপের। তাই এই চাপ থেকে তারাও কিছুটা মুক্ত হতে চান। ডয়চে ভেলে খোঁজার চেষ্টা করেছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা কীভাবে তাদের ছুটি কাটান।

ডোনাল্ড ট্রাম্প
রাজধানীর স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, রাশিয়ার ব্যাপারে তদন্তের উত্তাপ থেকে বাঁচতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিউ জার্সির রিসোর্টে গিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রচুর অবসর কাটাতেন বলে সমালোচনা করেছিলেন তিনি। তাহলে ১৭ দিনের ট্রাম্পের এই অবসরকে ‘কাজ থেকে ছুটি’ বলাই যায়।

ভ্লাদিমির পুটিন
রুশ প্রেসিডেন্ট যখনই তার শারীরিক সৌন্দর্য দেখাতে চান তখনই মনে হয় অবসর কাটাতে যান। চলতি বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে সাইবেরিয়া গিয়েছিলেন তিনি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবিতে তাকে মাছ ধরতে, নৌকা বাইতে এবং রৌদ্রস্নান করতে দেখা গেছে।

আঙ্গেলা ম্যার্কেল
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল গত এক দশক ধরে তার স্বামীর সাথে উত্তর ইটালির আল্পস পর্বতের কাছে ছুটি কাটাতে যান। তিনি বরাবরই তার সেই ট্রেডমার্ক হ্যাট সাথে নেন, জার্মান গণমাধ্যম যেটির নাম দিয়েছে ‘চ্যান্সেলরের টুপি’। এই ছবিটি ২০০৬ সালের এপ্রিলে তোলা, যখন তারা ইটালিতে ছুটি কাটাচ্ছিলেন।

টেরেসা মে
জার্মান চ্যান্সেলরের মতো ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও হাইকিং করতে বা হাঁটতে পছন্দ করেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে সুইজারল্যান্ডে আল্পসের চূড়ায় স্বামীকে নিয়ে হাঁটছেন মে। এপ্রিল মাসে ছুটি কাটিয়ে লন্ডনে ফেরার পরই আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন তিনি।

এমানুয়েল মাক্রোঁ
এ বছর নবনির্বাচিত ফরাসি প্রেসিডেন্টের অবসর কাটানোর সময় নেই। এ মাসের মধ্যে তো নয়ই। কেননা এই মাসে শ্রম আইন সংস্কার সংক্রান্ত একটি সমালোচিত আইন পাস করানো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে তাকে। তবে চাইলেই স্ত্রী ব্রিগিটেকে নিয়ে যে কোনো সময় ছুটি কাটতে যেতে পারেন তিনি।

জাস্টিন ট্রুডো
ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ভীষণ প্রিয় হলেও তার অবসর কাটানোর সব খবর কিন্তু জনগণ ভালোভাবে নেয় না। বাহামায় এ বছরের নববর্ষ উদযাপনের সময় তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। কেননা তিনি সরকারি বিমানের বদলে ব্যক্তিগত হেলিকপ্টারে চেপে সেখানে গিয়েছিলেন, যা নিয়মের বিরোধী। গ্রীষ্মে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ির কাছে নোভা স্কশিয়াতে সময় কাটিয়েছেন তিনি।

কিম জং উন
উত্তর কোরিয়াকে বলা হয় পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দেশ। কিন্তু এর মানে এই নয় যে সেদেশের নেতা কিম জং উন অবসর কাটাতে চান না। ছোটবেলা থেকেই ডিজনির ভীষণ ভক্ত উন। ১৯৯১ সালে শিশু উন ভুয়া পরিচয়ে টোকিও-র ডিজনিল্যান্ড ঘুরতে গিয়েছিলেন।

সূত্র : বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যেভাবে ছুটি কাটান [ডয়চে ভেলে, ৯ আগস্ট ২০১৭]

Similar Posts

error: Content is protected !!