আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
রেলগাড়িতে চড়তে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে বিশ্বে এমন কয়েকটি রেললাইন আছে যেখান দিয়ে ট্রেনে যেতে হয়ত আপনার একটু ভয় লাগবে।
পাম্বান ব্রিজ, ভারত
রামেশ্বরম আর পাম্বান নামে দু’টি দ্বীপের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে ১৯১৪ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সাগরের উপর নির্মিত এই ব্রিজটি ২ দশমিক ০৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বেশি হওয়ায় ব্রিজটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।
সাল্তা-আন্টোফাগাস্তা রেলওয়ে
আর্জেন্টিনার সাল্তা ও চিলির আন্তুফাগাস্তা শহরের মধ্যে এই রেললাইনটি অবস্থিত। প্রায় ২৭ বছর ধরে কাজ করার পর ১৯৪৮ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। এই লাইনের একটি অংশ ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪,২২০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। সে হিসেবে এটি বিশ্বের পঞ্চম সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত লাইন। প্রায় সাড়ে নয়শ’ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেললাইনে আছে ২৯টি ব্রিজ ও ২১টি টানেল।
জর্জটাউন লুপ, যুক্তরাষ্ট্র
কলোরাডো রাজ্যের এই রেললাইন দিয়ে এখন পর্যটকদের নিয়ে ট্রেন চলাচল করে। ৭ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দেয়ার সময় টুরিস্টরা আশেপাশের পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখতে পারেন। এই পথের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হচ্ছে ‘ডেভিলস গেট হাই ব্রিজ’। মাটি থেকে এর উচ্চতা ৩০ মিটার।
কুব়্যান্ডা সিনিক রেলওয়ে, অস্ট্রেলিয়া
৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেললাইন ঘন রেনফরেস্টের মধ্যে দিয়ে গেছে। পথে বেশ কয়েকটি ঝর্ণার দেখা পাওয়া যায়। তবে মাঝেমধ্যে খাড়া পাহাড়ি পথ এসে পড়ায় যাত্রীদের একটু ভয়ও লাগতে পারে।
ডেভিলস নোজ, ইকুয়েডর
পাঁচশ’ মিটার উঁচু খাড়া পাহাড় থেকে হঠাৎ করে বেঁকে ঢাল বেয়ে ট্রেনে করে নীচে নামা নিশ্চয় কিছুটা বিপজ্জনক ও ভয়ের। ইকুয়েডরের এই রেললাইনটি ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ২,৭০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত।
লিন্টন অ্যান্ড লিনমাউথ ক্লিফ রেলওয়ে, ইংল্যান্ড
লিন্টন ও লিনমাউথ শহরের মাঝে প্রায় ২৬০ মিটার খাড়া একটি পাহাড় অবস্থিত। এই দুই শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে ১৮৯৮ সালে এই রেললাইনটি স্থাপন করা হয়।
কাম্বার্স অ্যান্ড টলটেক সিনিক রেলরোড, যুক্তরাষ্ট্র
নিউ মেক্সিকো রাজ্যের চামা ও কলোরাডোর অ্যান্টোনিটো শহরের মধ্যে প্রায় ১০৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইনটি ১৮৮০ সালে নির্মিত হয়। এই লাইন দিয়ে এখনও কয়লাচালিত ট্রেন চলে।
সূত্র : বিশ্বের সাতটি বিপজ্জনক রেললাইন [ডয়চে ভেলে, ২ মার্চ ২০১৭]