সংবাদদাতা ।।
এক মাদ্রাসার ছাত্রের সাথে নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সহবাস করার অপরাধে মাওলানা শাহ মো. আবদুল ওয়াহিদ হেলালী নামে মসজিদের এক ইমামকে গত শনিবার রাত্রে নিকলী থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত শাহ মো. আবদুল ওয়াহিদ হেলালী উপজেলার সিংগারপাড় জামে মসজিদের ইমাম। সে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদরের শাহ আলহাজ্ব শককদর মিয়ার ছেলে বলে জানা যায়।
মামলার বিবরনে জানা যায়, নানশ্রী-সিংগারপাড় আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র (আবু হুরাইরা) তার পিতা আবু খায়ের মৃত্যুর পর থেকে তার নানা বাড়ি নিকলী উপজেলার শহরমূল গ্রামে বসবাস করে। সে নানশ্রী সিংগারপাড় আদর্শ দাখিল মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে লেখা পড়া করে। মাদ্রাসার সম্মুখভাগের সিংগারপাড় মসজিদের ইমাম শাহ মো. আবদুল ওয়াহিদ হেলালীর সাথে পরিচয় ঘটে। গত ৪ ফেব্র“য়ারী মাদ্রাসায় কাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে আবু হুরাইরাকে অভিযুক্ত ইমাম তার সাথে রাতে থাকার জন্যে অনুরোধ করে। সরল বিশ্বাসে ছাত্রটি ইমামের সাথে মসজিদ সাথেই ইমামের থাকার ঘর। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে অভিযুক্ত ইমাম জোরপূর্বক আবু হুরাইরার সাথে নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সহবাস করে। এই ঘটনায় ছাত্রটির মামা মো.সজল মিয়া বাদী হয়ে নিকলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যপারে গ্রেপ্তারকৃত ইমাম জানান, সূন্নী মতবাদের কারণে একটি প আমাকে ফাঁসানোর জন্য ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের^ নিষ্পত্তিকৃত ঘটনায় আজ আমাকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নানশ্রী-সিংগারপাড় আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাহারুল ইসলাম বাবুলের তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিনিধি এই ঘটনায় এলাকায় যান। তখন স্থানীয় মুসল্লিরা মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে ইমামের মত পার্থক্যের রয়েছে বলে শাহ মো. আবদুল ওয়াহিদ হেলালীকে ফাঁসাবার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ব্যপারে নিকলী থানার ওসি একেএম মাহবুব আলম জানান, বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতেই ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ইমাম অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে বলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান।