আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
সৌদি আরবে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে তালাকের ঘটনা। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ। অতি সাধারণ এবং অকারণে ঘর ভাঙার ঘটনা কারোরই কাম্য নয়। এরই মধ্যে আরেকটি তালাকের খবর মিডিয়ায় শিরোনাম হলো। আগে হাঁটার কারণে স্ত্রীকে তালাক দিলেন সৌদি আরবের এক ব্যক্তি!
ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তিনি এবং তার স্ত্রী হাঁটছিলেন একসাথে। কিন্তু স্ত্রী তার আগে আগে হাঁটছিলেন। স্বামী কয়েকবার সতর্ক করেছেন স্ত্রীকে পিছে থাকার জন্য। তারপরও আগে চলে যাচ্ছিলেন স্ত্রী। এটাকেই তালাকের যথাযোগ্য কারণ হিসাবে বিবেচনা করলেন তিনি। দেশটির দৈনিক পত্রিকা আল ওয়াতানের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় দ্য গাল্ফ নিউজ।
প্রতিবেদনে এমনই আরেক তুচ্ছ ঘটনায় তালাক দেয়ার কথা জানানো হয়। এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দেন খাবারের টেবিলে ভেড়ার মাথা না রাখার কারণে। ওই নারী রাতের খাবারের টেবিলে ভেড়ার মাথা রাখতে ভুলে গিয়েছিলেন। তাদের বাড়িতে ভোজনের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে ভেড়ার মাথা রাখা গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটি। পরে তার স্ত্রী জানান যে এ ঘটনায় তার স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। মেহমানদের সামনে ডিনারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটিও তিনি সম্পন্ন করেননি। এটাই তালাকের কারণ।
আরেকটি ঘটনায় বলা হয়, মধুচন্দ্রিমার সময় স্বামী তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে তালাক দেন। কারণ তার স্ত্রী পায়ে বালা পরেছিলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত দুই বছরে সৌদি আরবে বেশ বেড়েছে তালাকের ঘটনা। এ ঘটনা তাদের ঐতিহ্য ও সামাজিক মূল্যবোধের জন্য হুমকি। এ কারণেই সদ্য বিবাহিতসহ সকল দম্পতির জন্য কাউন্সেলিং সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরবের এক সোশাল কনসালটেন্ট লতিফা হামিদ বলেন, প্রত্যেক পরিবারের উচিত তাদের তরুণ সদস্যদের এ বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা। তাদের মধ্যে এ বিষয়ে সামাজিক, মানসিক এবং ধর্মীয়ভাবে সচেতন করে তুলতে হবে।
সূত্র : আগে হাঁটার কারণে স্ত্রীকে তালাক! [এনডিটিভি, কালের কণ্ঠ]