আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
মাথায় খুসকির সমস্যা অনেকেরই, যা ভীষণ বিরক্তিকর। কিন্তু এর কারণ কি? আর এ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ই বা কি? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সুস্থ চুল
সুন্দর সাজগোজ করে টিপটপ হয়ে কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কিন্তু দেখা গেলো তাঁর গায়ের কাপড়ে বা ঘাড়ের কাছে খুসকি পড়ে জমে আছে। তা যে শুধু দেখতে খারাপ লাগে তাই নয়, অস্বস্তিকর এবং অস্বাস্থ্যকরও বটে। তবে খুসকি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ও রয়েছে।
শুষ্ক চামড়া
মাথার চামড়া শুকিয়ে যখন বেশি চুলকায় তখনই খুসকি হয়ে তা ঝরে পড়ে। আর সেটা শীতকালেই বেশি হয়। ঠান্ডা, বাতাস বা হিটারের গরম তাপ থেকে মাথার চামড়া খানিকটা শুকিয়ে যেতে পারে। ফলে তা লাল হয় এবং চুলকায়, যাতে খুসকি আরো বেড়ে যায়।
সপ্তাহে দু’দিন শ্যাম্পু
যদি কেউ মনে করেন যে বেশি করে চুল ধুলেই খুসকি কমে যাবে, তাহলে সেই ধারণা কিন্তু পুরোপুরি ভুল। বলেন কোলন শহরের চর্ম বিশেষজ্ঞ প্রফেসার গ্যারহার্ড লুটৎস। তাঁর মতে, খুব হালকা শ্যাম্পু দিয়ে সপ্তাহে দু’দিন চুল ধুলেই যথেষ্ট!
কৃত্রিম রং বা গন্ধ নয়
প্রফেসার লুটৎস আরো বলেন, ‘‘লক্ষ্য রাখতে হবে শ্যাম্পুতে যেন কোনো রকমের কৃত্রিম রং বা গন্ধ না থাকে। এছাড়া ভেজা চুল জোরে জোরে না ঘসে খুব নরম তোয়ালে ব্যবহার করে আস্তে মুছে ফেলতে হবে।’’ অনেক সময় অবশ্য দেখা যায় যে, শুধু শ্যাম্পু পরিবর্তন করলেই খুসকি কমে যায়।
অ্যান্টি-খুসকি শ্যাম্পু
‘অ্যান্টি ড্যানড্রফ’ লেখা অনেক শ্যাম্পু বাজারে পাওয়া যায়, যেগুলি ব্যবহার করা কোনোভাবেই উচিত নয়। কারণ চর্ম বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরণের শ্যাম্পু ব্যবহারে মাথার চামড়া আরো শুকিয়ে হয়ে যায় আর ফল হয় উল্টো।
অলিভ অয়েল
ফার্মাসিস্ট ক্রিস্টফ ভিসৎকের পরামর্শ: শ্যাম্পুতে যেন হাইড্রোজেনের (পিএইচ) পরিমাণ ৫.৫-এর মতো হয়। তাছাড়া জলপাইয়ের নির্যাসে তৈরি শ্যাম্পু ও তেল খুসকি দূর করার জন্য খুবই ভালো। তবে রাতে শোওয়ার আগে কয়েক ফোটা অলিভ ওয়েল মাথায় দিয়ে ভালো করে ধীরে ধীরে ম্যাসেজ করে পরের দিন শ্যাম্পু করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
নরম চিরুনি
চুলে শক্ত ব্রাশ ব্যবহার না করে চিরুনি দিয়ে আস্তে, খুব যত্নের সাথে চুল আঁচড়াতে হবে। চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ এই নিয়মগুলো মেনে চললে খুসকি কমে যাওয়ার কথা। আর তাতেও যদি না কমে, তাহলে অবশ্যই চর্ম বিশেষজ্ঞকে দেখানো উচিত, এমনই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সূত্র : মাথায় খুসকি? বিরক্তিকর, কী করবেন জেনে নিন [ডয়চে ভেলে, ১৪ মার্চ ২০১৪]