কটিয়াদীতে ঘুমন্ত সদস্যদের অজ্ঞান করে মালামাল লুট

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

ঘুমন্ত পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার ভোর রাতে কটিয়াদী পৌরসদরের পূর্বপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। নাকে-মুখে চেতনানাশক দ্রব্য ছিটিয়ে দুর্বৃত্তরা গৃহকর্তা শিক্ষক কামরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হোসনে আরা পারভীনকে অজ্ঞান করে এই অপকর্ম করে। তাদের কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার ভোর রাতে পূর্বপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত জেলা রেজিস্ট্রার মাইন উদ্দিনের বাড়ির ছাদের ওপর থেকে সিঁড়ি দিয়ে দুর্বৃত্তরা নিচতলার ঘরে প্রবেশ করে। সেখানে ঘুমন্ত গৃহকর্তা শিক্ষক কামরুল আহসান (৫৩) এবং তার স্ত্রী হোসনে আরা পারভীনের (৪৭) নাকে-মুখে চেতনানাশক দ্রব্য ছিটিয়ে অজ্ঞান করে ২টি স্টিলের আলমারি, শো-কেস, ওয়ারড্রপ খুলে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

এ সময় গৃহকর্তার মেয়ে কটিয়াদী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মীম (১৭) ঘুম থেকে জেগে উঠলে দুর্বৃত্তরা পিছন থেকে দেয়ালে ধাক্কা দেয় এবং পায়ে আঘাত করে। ধাক্কায় মীমের মাথা ফেটে যায় এবং সে অচেতন হয়ে মেঝেতে পড়ে থাকে। ভোরে পাশের রুম থেকে মীমের মামী লাকী আক্তার নামাজ পড়তে উঠে মীমকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। তিনি পাশের রুমে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা মীমের মা-বাবার গোঙানির শব্দ এবং দরজা খোলা দেখতে পান। এ সময় লাকী আক্তার ও তার স্বামী আবু ছিদ্দিক চিৎকার-চেঁচামেচি করলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হন।

এলাকাবাসী অচেতন অবস্থায় কামরুল আহসান, তার স্ত্রী হোসনে আরা ও কন্যা মীমকে উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। দুপুর ১টায় মীমের জ্ঞান ফিরলেও তার মা-বাবার জ্ঞান ফিরেনি।

মীমের মামা আবু ছিদ্দিক জানান, তার আলমারি থেকে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২১ হাজার টাকা খোয়া গেছে। কামরুল আহসান ও তার স্ত্রীর জ্ঞান না ফিরায় তার রুম থেকে কি পরিমাণ মালামাল লুট হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি।

খবর পেয়ে কটিয়াদী মডেল থানার ওসি মো. জাকির রব্বানী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

সূত্র : ঘুমন্ত পরিবারকে অজ্ঞান করে মালামাল লুট, ৩ সদস্য হাসপাতালে  [কিশোরগঞ্জ নিউজ, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭]

Similar Posts

error: Content is protected !!