আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
নিকলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার পদটি শূন্যই থেকে যাচ্ছে। ফলে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই পদটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মকর্তা শূন্যতায় ভুক্তভোগীদের হয়রানির শিকার হওয়ার পাশাপাশি উপজেলাটির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পড়েছে মুখ থুবড়ে।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম অন্যত্র বদলি হলে বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এজেডএম শারজিল হাসান পদটিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২ মাস ২৪ দিন পর সেই বছরের ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ উপজেলার সরকারি শীর্ষ এই পদটির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। মাত্র ৭ মাস ৩ দিন দায়িত্ব পালন শেষে গত ১৮ জুলাই মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদকেও অন্যত্র বদলি করা হয়।
আবারও অতিরিক্ত দায়িত্ব নেন বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি। ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি চলতি সালের ৪ সেপ্টেম্বর বদলি হলে নিকলী উপজেলার শীর্ষ এই পদটি সম্পূর্ণ শূন্য অবস্থায় রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিকলী উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত একাধিক কর্মকর্তা বলেন, শীর্ষ এই কর্মকর্তার প্রয়োজনীয়তা নিত্যকার। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার পক্ষে প্রতিনিয়ত দুই উপজেলায় সময় দেয়া সম্ভব নয়। নির্ধারিত সময়ের বাইরে ইউএনও’র প্রয়োজন দেখা দিলে দৌড়াতে হয় প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের বাজিতপুরে। ইউএনও অফিসের বাইরে থাকলে অপেক্ষা করা বা পরে দেখা করা ছাড়া উপায় থাকে না।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম সাঁট মুদ্রাক্ষরিক স্বপন কুমার বর্মনের কাছে শীর্ষ এই কর্মকর্তা না থাকায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আমাদের আর সমস্যা কি, বেতন পাচ্ছি যথাসময়ে। সমস্যা সব পাবলিকের। প্রয়োজনে দৌড়াতে হয় বাজিতপুরে।
সদ্য যোগদানকৃত বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন নিকলীর অতিরিক্ত দায়িত্ব নিচ্ছেন কি না জানতে অফিস সহকারী কফিল উদ্দিনের কাছে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি সোহানা নাসরিনের বরাত দিয়ে জানান, এমন কোনো চিঠিপত্র তিনি পাননি। তাই আপাতত কিছু বলতে পারছেন না।
সূত্র : নিকলীতে উপজেলা নির্বাহীর পদ শূন্য, ভোগান্তি [মানবজমিন, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭]