কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা ।।
প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। মণ্ডপগুলোতে দিন-রাত চলছে সেই আয়োজন। এবার জেলার ১৩টি উপজেলায় ৩৭৮টি দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজাকে শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও উৎসবমুখর রাখতে পুলিশও নিচ্ছে আলাদা প্রস্তুতি। এরই মধ্যে সব পূজামণ্ডপে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আয়োজকদের নিয়ে দফায় দফায় উপজেলাগুলোতে মতবিনিময় সভা করছে প্রশাসন।
শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর জেলা শহরের বেশকিছু পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে আয়োজকদের ব্যস্ততা। প্রতিমা শিল্পীরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে প্রতিমাগুলোকে ফুটিয়ে তুলছেন।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মাধব দেবনাথ জানিয়েছেন, হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে দুর্গাপূজা। কিশোরগঞ্জে এবারও এ উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। সেই প্রস্তুতিই চলছে সবখানে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবার কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলায় ৩৭৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদরে ৫২টি, করিমগঞ্জে ১০টি, পাকুন্দিয়ায় ১৫টি, হোসেনপুরে ১২টি, কটিয়াদীতে ৪৭টি, বাজিতপুরে ৬২টি, কুলিয়ারচরে ২৮টি, তাড়াইলে ১৫টি, ভৈরবে ২২টি, মিঠামইনে ১২টি, অষ্টগ্রামে ৫৫টি, ইটনায় ৩৬টি ও নিকলীতে ১৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজকদের সাথে শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা পুলিশ এক মতবিনিময় সভা করে। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান। সভায় পুলিশের পক্ষ থেকে আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়। তাছাড়া পূজা শান্তিপূর্ণ রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া নির্দেশনাগুলো মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিব খান ও নাজমুল ইসলাম।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান বলেন, দুর্গাপূজাকে নিরাপদ ও উৎসবমুখর রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে সাজানো হচ্ছে সকল আয়োজন। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবকরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের যুক্ত করা হয়েছে দুর্গাপূজায়। কাজেই আমরা আশা করছি এবারও শান্তিপূর্ণ হবে দুর্গাপূজা।