বিশেষ প্রতিনিধি ।।
“জীবনের যত রঙ” স্লোগানে শিল্পকলা একাডেমিতে ফেসবুক গ্রুপ “পেন্সিল”-এর পাঁচদিনব্যাপী উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান হয়ে গেলো ১৬ সেপ্টেম্বর। এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠানটি শুরু হয় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা ৬ নং হলে। শিল্প-সাহিত্যের শুদ্ধ চর্চার প্রত্যয়ে গড়ে ওঠা গ্রুপটির বর্তমান সদস্য সংখ্যা বত্রিশ হাজারেরও বেশি। ক্রমেই এই সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। তবে শিশুদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এই আয়োজনে ছিলো পেন্সিলের সদস্যদের আঁকা ছবি ও আলোকচিত্রের এক দৃষ্টিনন্দন প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া আলোকচিত্র ও চিত্রকলার জন্য অংশগ্রহণকারী সকলকে পেন্সিলের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
প্রতিদিনের মতো শনিবারও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এদিন কবিতা আবৃত্তি করেন নাঈমা পারভীন অনামিকা, শামসুর নাহার প্রমুখ। পেন্সিলরদের মধ্যে গান পরিবেশন করেন আসমা দেবযানী, মুজাহিদুল হক লেলিন, কিশোর ক্লাডিয়াস, সুস্মিতা মণ্ডল, নাঈমা পারভীন অনামিকা এবং পেন্সিলের ব্যান্ড দল চান্দের গাড়ি।
প্রথম বর্ষপূর্তি আয়োজন সম্পর্কে গ্রুপটির উদ্যোক্তা ডা. এস এম নিয়াজ মাওলা জানালেন, পেন্সিল সদস্যদের আলোকচিত্র, চিত্রকলা এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আঁকা ছবি নিয়ে প্রদর্শনী করা হয়েছে। এছাড়াও পেন্সিল সদস্যদের সন্তানদেরও কিছু চিত্রকলা প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। গ্রুপটির সদস্যদের কবিতা আবৃত্তি নিয়ে পরবর্তীতে “তবু কবিতায় বলে দিয়েছি” শিরোনামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করার কথাও জানালেন তিনি।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেলে পড়ুয়া সমমনা কয়েকজন বন্ধু মিলে সাহিত্য ও লেখালেখি বিষয়ক চর্চার চিন্তা থেকে ২০১৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাতে ফেসবুকে “পেন্সিল” নামে গ্রুপটির জন্ম সম্পর্কে জানালেন অন্যতম উদ্যোক্তা ডা. নিয়াজ মাওলা। নামকরণের সুন্দর ব্যাখ্যাটিও দিলেন। “শৈশবে পেন্সিল দিয়েই সবাই লেখা শুরু করি। ভুল হলে আবার মুছে লিখি। এই গ্রুপে যারা লিখবেন এর মাধ্যমেই তাদের লেখালেখির একটা হাতেখড়ি হবে। ভুল-ভ্রান্তি যাই হোক, কিছু একটা লেখা শুরু করা হবে। এর মাধ্যমে লেখালেখির অভ্যাসটা তৈরি করা, উৎসাহ পাওয়া। সেই চিন্তা থেকেই ‘পেন্সিল’ নাম দেয়া হয়।”