আমরা অনেকেই আছি কেবল কাঁটার ভয়ে মাছ খাই না! আবার অনেক সময়েই দেখা যায় ভুল করে এমন মাছ কিনে ফেলা হয়েছে যেটায় প্রচুর কাঁটা/ এত কাঁটা যে মুচমুচে করে ভেজেও খাওয়া যাচ্ছে না। যেমন সামুদ্রিক বাটা বা ঝাটকা ইলিশ, কৈ ইত্যাদি। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞগতার কথা বলি। বাজার থেকে মিঠা পানির বাটা মাছ ভেবে কিনে এনেছি সামুদ্রিক বাটা। এত্ত কাঁটা যে ভেজেও খাওয়া যায় না, এদিকে প্রেসার কুকারও নেই আমার। কী করব, এতগুলো মাছ ফেলে দেব? বুদ্ধি করে একটা উপায় বের করে ফেললাম মাছের কাঁটা ভ্যানিস করার! সেই দারুণ কৌশলটিই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
কী করবেন মাছের কাঁটা দূর করতে? জেনে নিন একটু দারুণ কৌশল। এই কৌশলে মাছ রান্না করলে কাঁটা বলতে গেলে একেবারেই “ভ্যানিস” হয়ে যাবে। ঠিক যেন ম্যাজিক! চলুন, জেনে নিই দারুণ সেই কৌশল।
যা লাগবে
কেবল তাজা লেবুর রস প্রয়োজন। এই লেবুই মাছের কাতাকে একদম নরম করে ফেলবে।
কীভাবে করবেন?
-মাছগুলোকে আপনার পছন্দমত টুকরো করে নিন। কৈ, বাটা ইত্যাদি ধরণের মাছ হলে সারা গায়ে চিড় দিয়ে নিন একটু পর পর। বড় মাছ হলে একটু পাতলা টুকরো করুন।
-এবার মাছগুলোর গায়ে লেবুর রস মাখিয়ে রাখুন। ২৫০ গ্রাম মাছের জন্য একটি বড় লেবুর রস লাগবে। লেবুর রস বেশী দিলেও কোন সমস্যা নেই। কারণ পরে এটা ধুয়ে ফেলব আমরা। কম হলে সমস্যা।
-লেবু রস মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখুন কমপক্ষে। খেয়াল রাখবেন, লেবুর রস যেন ভালমত মাছে ঢোকে। যত বেশী রাখা যায়, তত ভালো।
-এরপর মাছগুলোকে ধুয়ে মসলা ও লবণ মাখিয়ে ডুবো তেলে ভেজে নিন মুচমুচে করে। এই মাছ এই মচমচে খেতেই দারুণ লাগবে। খেতে গেলে দেখবেন একদম চিবিয়ে খাওয়া যাচ্ছে। খুব শক্ত কাঁটা ছাড়া অন্য কাঁটার অস্তিত্ব নেই।
-আপনি চাইলে এই ভাজা মাছ ভুনা বা ঝোল করেও খেতে পারেন।