কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা ।।
কিশোরগঞ্জে পৃথক দু’টি হত্যা মামলায় দুইজনকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে কিশোরগঞ্জের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার কটিয়াদী উপজেলার ঘাগৈর গ্রামের আব্দুল হাকিম (৫০) ও ভৈরব উপজেলার চন্ডিবের দক্ষিণপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (২৮)। রায় ঘোষণাকালে আসামি আব্দুল হাকিম আদালতে উপস্থিত থাকলেও অন্য আসামি রফিকুল ইসলাম জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্র ও মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, কটিয়াদী সদরের শ্মশানবন্দ এলাকায় চরপুক্ষিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের চাষাবাদের একখণ্ড জমি ছিল। একই এলাকার পশ্চিমপাড়া গ্রামের সুলতান মিয়াও বর্গাচাষি ছিলেন। গত ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ সকালে এলাকায় ছাগল চড়ানোকে কেন্দ্র করে সুলতান মিয়ার স্ত্রী রসুনা খাতুনের সাথে আসামি আব্দুল হাকিমের ঝগড়া হয় এবং এক পর্যায়ে হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে কোপ দিয়ে রসুনা খাতুনের হাতে আঘাত করলে তিনি আহত হন। পরে বিকেলে জয়নাল আবেদীন এ ব্যাপারে আব্দুল হাকিমের কাছে কৈফিয়ত চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ নিয়ে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আব্দুল হাকিম বল্লম দিয়ে জয়নাল আবেদীনের বুকে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় তার ছেলে জসীম উদ্দিন বাদী হয়ে আব্দুল হাকিমকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে কটিয়াদী থানার এসআই ফয়সাল আহমেদ গত ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অন্য ঘটনায় ভৈরব উপজেলা সদরের মেঘনা ফেরীঘাট এলাকার মুদি দোকানদার রফিকুল ইসলাম তার ভাগ্নে দীন ইসলামের কাছে পাওনা ৩শ টাকা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ফেরিঘাটে কর্মরত মো. জামালউদ্দিন ওই বিরোধের মধ্যস্থতা করতে গেলে গত ২০১৫ সালের ২৩ এপ্রিল রফিকুল ইসলাম তার বুকে ছোরা দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। সাথে সাথে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় স্থানীয় জনতা অস্ত্রসহ রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে নিহতের বড় ভাই কামাল মিয়া ভৈরব থানায় রফিকুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ভৈরব থানার এসআই সাইফুল ইসলাম গত ২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।