আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিবারণ কেন্দ্র বা সিডিসি-র মতে, যৌনরোগ এড়ানোর সবচেয়ে বিশ্বস্ত উপায় যৌনমিলন না করা। ছবিঘরে থাকছে কয়েকটি যৌনরোগ সম্পর্কে তথ্য।
গনোরিয়া
গনোরিয়া আছে এমন কারোর সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে গনোরিয়া হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত মা থেকে নবজাতকের শরীরে এই জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। পুরুষ ও নারী, বিশেষ করে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সিরা গনোরিয়ায় আক্রান্ত হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিবারণ কেন্দ্র (সিডিসি)। গনোরিয়া হলে মূত্রত্যাগের সময় জ্বালাপোড়া ও যৌনাঙ্গ দিয়ে সাদা, হলুদ ও সবুজ স্রাব বের হতে পারে।
সিফিলিস
গনোরিয়ার মতো সিফিলিসের জীবাণুও মা থেকে নবজাতকের দেহে ঢুকতে পারে। চিকিৎসা না করলে সিফিলিস থেকে দীর্ঘমেয়াদে জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে সিডিসি। সিফিলিসের লক্ষণ : প্রাথমিক পর্যায়ে যন্ত্রণা ও চুলকানিবিহীন ক্ষত হতে পারে, দ্বিতীয় পর্যায়ে মুখ, যোনি কিংবা মলদ্বারে ব়্যাশ বা ক্ষত হতে পারে। শেষ পর্যায়ে প্যারালিসিস থেকে অন্ধত্ব, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
জেনিটাল হার্পিস
যৌনকাজে সক্রিয় যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্তদের অনেকের শরীরে এই রোগের লক্ষণ দেখা যায় না। অর্থাৎ কারও শরীরে এই রোগের লক্ষণ না থাকলেও তিনি সঙ্গীর দেহে এটি ছড়িয়ে দিতে পারেন। লক্ষণগুলো হলো– যৌনাঙ্গ, মলদ্বার ও মুখে একটি বা দু’টি ফোস্কা পড়তে পারে। সেগুলো ভেঙে গিয়ে ব্যথা হতে পারে। সেই ব্যথা সারতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
এইচআইভি/এইডস
যাদের সিফিলিস, গনোরিয়া ও হার্পিস আছে তাদের ভবিষ্যতে এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ রোগগুলো একইরকম যৌন আচরণের জন্য হয়ে থাকে। এইচআইভি-তে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম দু’টি কারণ : কনডম ছাড়া যৌনমিলন এবং একাধিক ও অপরিচিত কারও সাথে মিলন। তবে এইচআইভি-তে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি বা কোনো এইডস রোগীর রক্ত আপনার শরীরে ঢুকলেও এই রোগ হয়।
ক্লেমিডিয়া
পুরুষ ও নারীর উভয়েরই এটি হতে পারে। নারীর গর্ভধারণ ক্ষমতায় স্থায়ী সমস্যা তৈরি করতে পারে ক্লেমিডিয়া। এই রোগের একবার চিকিৎসা হলেও পরবর্তীতে আবারও এটি হতে পারে। এমনটি হলে নারীদের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক অথবা অনিয়মিত ঋতুস্রাব, মূত্র ত্যাগের সময় জ্বলাপোড়া হতে পারে। পুরুষের বেলাতেও প্রায় একই ধরণের লক্ষণ দেখা দেয়।
শ্যানক্রয়েড
এর ফলে যৌনাঙ্গে যন্ত্রণাদায়ক ঘা দেখা দেয়। যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এটি বেশি দেখা যায়। এর সাথে যৌনকর্মীদের একটি সম্পর্ক রয়েছে, কারণ দেখা গেছে যাদের শ্যানক্রয়েড হয়েছে তারা কোকেন ব্যবহার করেছেন কিংবা পতিতালয়ে গেছেন। উপযুক্ত চিকিৎসা না হলে রোগাক্রান্তদের পুরুষাঙ্গের ছিদ্র সরু হয়ে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
জিকা ভাইরাস
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত এই রোগের জন্য সাধারণত মশাই দায়ী। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সিডিসি বলছে, যৌন মিলনের মাধ্যমেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।
সূত্র : কয়েকটি যৌনরোগের তথ্য [ডয়চে ভেলে, ৩০ মার্চ ২০১৬]