ভৈরবে পুলিশ হত্যায় জড়িত ডাকাত বন্দুকযুদ্ধে নিহত

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা ।।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সোহাগ মিয়া (২২) নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত যুবক ডাকাত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার ৪ অক্টোবর আনুমানিক ভোর ৪টায় ভৈরবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতু এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

সোহাগের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় হত্যা, ছিনতাই, অস্ত্র ও ডাকাতিসহ সাতটি মামলা রয়েছে। তিনি ভৈরবপুর (দক্ষিণ) পাড়া এলাকার রিকশা মিস্ত্রী মো: আলী মিয়ার ছেলে।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি একদল ডাকাত সড়কসেতু এলাকায় সোহাগ সহযোগীদের নিয়ে অবস্থান করছে। তৎক্ষণাত সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত বাহিনী আমাদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।

এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। কিছুক্ষণ বন্দুকযুদ্ধের পর সোহাগের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই সোহাগসহ ভৈরব থানা উপ-পরিদর্শক এএসআই হাবীবুল্লাহ ও কনস্টেবল আব্দুল ওহাব আহত হন।

তিনি আরো জানান, এসময় সবাইকে চিকিৎসার জন্য ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ কর্মকর্তা দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, এক রাউন্ড গুলি, দুই রাউন্ড গুলির খোসা, দুইটি রামদা এবং একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

গত রোববার রাতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে পুলিশ হত্যার ঘটনায় সোহাগ জড়িত ছিলেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরবের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর নিচে ছিনতাই ঠেকাতে গিয়ে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আরিফুল ইসলাম বিপ্লব নিহত হন। এসময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এনা পরিবহনের সুপারভাইজার ডালিম (২৩) গুরুতর আহত হন। তাকে রাতেই আহত অবস্থায় বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। নিহত পুলিশ সদস্য বিপ্লব ময়মনসিংহ নগরীর খাগডহর মদিনানগর এলাকার মরহুম ফজলুল করিমের ছেলে। গুরুতর আহত ডালিম কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার রাখনগাঁও গ্রামের মহসীন মিয়ার ছেলে।

Similar Posts

error: Content is protected !!