ইটনায় ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে দুই শিক্ষকের কারাদণ্ড

বিশেষ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ ।।

কিশোরগঞ্জের ইটনায় নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অপরাধে দুই শিক্ষককে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার ১২ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান খান তাদের এ সাজা দেন। দণ্ডিত দুই শিক্ষক হলেন, ইটনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম (৩৮) এবং মহেশ চন্দ্র মডেল শিক্ষা নিকেতনের শরীরচর্চা শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম খান (৪০)। এর মধ্যে মো. রফিকুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার রায়টুটী এবং সাইফুল ইসলাম খানের বাড়ি নেত্রকোনার জেলার কেন্দুয়ার মোজাফফরপুর গ্রামে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে বছর দেড়েক ধরে দুই শিক্ষক মিলে পৃথকভাবে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। দু’জনেই নানাভাবে ওই ছাত্রীকে নিয়মিত কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। ওই ছাত্রীর পরিবার থেকে বারবার ওই দুই শিক্ষককে সতর্ক করার পরও তারা এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

বাধ্য হয়ে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমান খান অভিযুক্ত এই দুই শিক্ষককে বৃহস্পতিবার সকালে তার কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা অভিযোগ স্বীকার করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দু’জনের প্রত্যেককে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দণ্ডিত দুই শিক্ষক ওই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিতেন এবং যৌন হয়রানি করতেন। এ অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের এ শাস্তি দেয়া হয়।

ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মালেক বলেন, দণ্ডিত দুই শিক্ষককে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Similar Posts

error: Content is protected !!