অ্যাম্বুলেন্সের খবর নিতে গিয়ে হুমকির মুখে সাংবাদিক

স্টাফ রিপোর্টার ।।
গত ৯ মে ২০১৫ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (মহিলা ওয়ার্ডের ১৫ নম্বর বিছানায়) ভর্তি হওয়া রোগী হোসনা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরিভিত্তিতে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল অথবা অন্যত্র নেয়ার উদ্দেশ্যে নিকলী সদর হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে দেয়া এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারের নাম্বারে ফোন দেয়া হয়। ড্রাইভারের কাছে অ্যাম্বুলেন্সের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে নিকলী প্রেসকাবের সদস্য ও একটি অনলাইন পত্রিকার নিকলী প্রতিনিধি শেখ উবাইদুল হক সম্রাটকে কোনো তথ্য না দিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফোন কেটে দেয়। পরে অন্য একটি মোবাইল নম্বর থেকে সাংবাদিক সম্রাটকে এক দুর্বৃত্ত ফোনে হুমকি দিয়ে বলে, “নিকলী সাংবাদিকতা করে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারের খবর নেয়ার সাহস তোকে কে দিয়েছে? তুই ড্রাইভারকে চিনিস? এর বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদরে। কিশোরগঞ্জ তোরে পাইলে হাত-পা কেটে ফেলব। তুই নিকলী থাকিস। সন্ধ্যার সময় তোর খোঁজখবর নিয়ে হাত-পা কেটে নিয়ে যাব।”
সাংবাদিক উবাইদুল হক সম্রাট বারবার তার পরিচয় জানতে চাইলে তার পরিচয় গোপন রেখে হুমকি দিতে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, “হুমকি প্রদানে ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি নিকলী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হারুন অর রশিদের। যা নিকলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের নোটিশ বোর্ডে দেয়া আছে।” দুর্বৃত্তের (ড্রাইভার) বেফাঁস কথা ও গালিগালাজগুলি সাংবাদিক উবাইদুল হক মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখেন (২মিনিট ৭ সেকেন্ড)। এ ব্যাপারে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার হারুন অর রশিদ কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অন্য একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিনিধিকে জানান ‘আমি হুমকি দিইনি। আমার একজন সহকর্মী মোবাইল নিয়ে সাংবাদিকের সাথে এই ধরনের কথা বলেন ও হুমকি দেন। সাংবাদিক সম্রাট নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এ ব্যাপারে গত রোববার রাতে নিকলী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি নথিভুক্ত করেন। যার নং- ৩১৪ তারিখ:১০-০৫-১৫। বর্তমানে তিনি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!