এ ইসলাম, (করগাঁও, কটিয়াদী) সংবাদদাতা ।।
কটিয়াদি উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। বিশেষ করে ৩টি স্থান উল্লেখযোগ্য।
আগে ফেনসিডিল, গাঁজা, হেরোইন বিক্রি হলেও এখন ইয়াবা, ড্যান্ডিসহ নানা ধরনের নতুন মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে এলাকার কিশোর-তরুণরা। এসব মাদকদ্রব্য সহজলভ্য হওয়ায় তারা নির্বিঘ্নে মাদকের জোগান পাচ্ছে। মাদক কেনার টাকা জোগাড় করার জন্য মাদকসেবীরা চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। চুরি ছিনতাইয়ের ভয়ে বাড়ির মেয়েরা বাইরে বের হতেও ভয় পায়।
ইউনিয়নের স্থানীয় লোকজনদের সূত্রে জানা গেছে, করগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ পাঁচলীপাড়া গ্রামের নগরহাটি নামক স্থানে দেদারসে মাদক বিক্রি হচ্ছে। এসব স্থানে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিক্রি করা হয়ে থাকে বলে এলাকাবাসী জানান। তারা আরো জানান, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, কটিয়াদী এবং সিলেট জেলা থেকে সড়ক, রেল ও নৌপথে গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল ও ইয়াবা করগাঁও আনা হয়।
নিকলী উপজেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের বিশেষ অভিযান পরিচালনা হওয়ায় করগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এই ব্যবসার প্রসার ঘটছে। আর এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, করগাঁও কটিয়াদী উপজেলার শেষ প্রান্ত ও ভাটির থানা নিকলীরও শেষ প্রান্ত হওয়ায় নিকলী থানার পুলিশ অভিযান পরিচালনা করতে পারছে না। কারণ এই এলাকাটি তাদের থানাধীন নয় ও কটিয়াদী থানা হতে অত্র এলাকার দূরত্ব বেশি হওয়ায় পুলিশের অভিযান চলাকালীন তারা নিরাপদ দূরত্বে লুকিয়ে থাকে। পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই আবার তাদের ব্যবসার শুরু হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং পুলিশের সহযোগিতায় এলাকায় বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করা হলে কেবলমাত্র চোলাই মদ ও গাঁজা আটক করে। কিন্তু ব্যবসা বন্ধ হয় না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, করগাঁওয়ে খুচরা ও পাইকারি মিলিয়ে অন্ততপক্ষে ১০ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছেন। একজন ব্যবসায়ী প্রতিদিন ন্যূনতম এক হাজার টাকার গাঁজা বিক্রি করেন। একজন পাইকারী ইয়াবা ব্যবসায়ী বলেন, নতুন পুরাতন মিলে শতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছে। তাদের মধ্যে কল্পনা আক্তার তার নিজ বাড়িতে মাদক, মিলন মিয়া, জিন্নত আলী, ফারুখ মিয়া (বর্তমানে জেলে), সালমান মিয়া সহ দীর্ঘদিন যাবৎ পাচলীপাড়া গ্রামসহ আশপাশে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।