বিশেষ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ ।।
হোসেনপুরে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে পৌর ছাত্রলীগের বিবদমান দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের এক কর্মীকে মারধরের জের ধরে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চৌরাস্তায় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের সাথে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। দুই গ্রুপের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের এই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, হোসেনপুর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মুখলেছুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত উপজেলা সদরে আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে আগেও সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় সভাপতি গ্রুপের কাইয়ুম নামের এক কর্মীকে মারপিট করে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কয়েক কর্মী।
কাইয়ুমকে মারপিটের বিষয়টি জানাজানি হলে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে বিকাল ৫টার দিকে হাসপাতাল চৌরাস্তায় দুই গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাপক লাঠিচার্জ ও ২১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ইট-পাটকেলের আঘাতে হোসেনপুর থানার এসআই একেএম মঞ্জুরুল হক, এএসআই সুজন, কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম, আজাদ কবির ও হাদিউল ইসলাম ছাড়াও উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হন।
হোসেনপুর থানার ওসি মো. আবুল হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এছাড়া পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।