নিম্নমানের ওষুধ কোম্পানির খপ্পরে ক্ষতিগ্রস্ত করগাঁওয়ের স্বাস্থ্যসেবা

এ ইসলাম, করগাঁও (কটিয়াদী) ।।

কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষ করগাঁও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসার ওপর নির্ভর। এখানে ডাঃ মো: আমিনুল ইসলাম। উপস্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসাবে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ করগাঁও ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

করগাঁও বাজারে বর্তমানে ১৯টি ওষুধের ফার্মেসি আছে। কিন্তু কিছু নামসর্বস্ব কোম্পানির প্রতিনিধিগণ ডাক্তারদের চাপ প্রয়োগ করে বাজারে তাদের কোম্পানির নিম্নমানের ওষুধের নাম লিখিয়ে নিচ্ছেন। এতে করে শিশুসহ সকল বয়সের মানুষের জনজীবন হুমকির মুখে।

বলাবাহুল্য যে, এসব নিম্নমানের কোম্পানির প্রতিনিধিগণ এলাকার স্থানীয় হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে তারা যেসব কোম্পানিতে চাকরি করছেন সেসব কোম্পানির নিম্নমানের ওষুধ বাজারজাত করছেন। এখানে উল্লেখ্য যে, করগাঁও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যে অবস্থা ঠিক তেমনি অবস্থা নিকলী থানা সদরে অবস্থিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরও।

এলাকার স্থানীয় লোকজন এসব বিষয়ে কোনো ধারণা না থাকায় সহজেই তাদের ঠকানো হচ্ছে। করগাঁও বাজারে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৯টি ওষুধের দোকান আছে। বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, টাকা দিয়ে ও চাপ প্রয়োগ করে এলাকার কিছু লোক তাদের নিজেদের স্বার্থে নিম্নমানের ওষুধের নাম লিখিয়ে দিচ্ছে এবং ডাক্তারকে দিয়ে বলিয়ে দিচ্ছে যে, প্রেসক্রিপশনে যা লিখা হয়েছে সেসব ওষুধই কিনে খাবেন। কিন্তু ওষুধ ব্যবসায়িরা বলেন, গ্রামের অসহায়-দরিদ্র মানুষ তারা টাকা দিয়ে ওষুধ কিনে আর আমরা টাকার জন্য নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের এসব নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করতেও বিবেকে বাঁধে ও খারাপ লাগে। কারণ টপটেন কোম্পানির ওষুধ বিক্রি করে লাভের পরিমাণ কম হলেও তাতে ভালো লাগে এবং ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যায়। যেগুলি নিম্নমানের কোম্পানির ওষুধে নাই।

এলাকাবাসীর জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে এসব নিম্নমানের ওষুধ বাণিজ্য দ্রুত বন্ধ করতে যথাযথ কতৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী।

Similar Posts

error: Content is protected !!