মোঃ মোজাম্মেল হক। একজন সফল প্রবাসী ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ১৯৯১ সালে পারিপার্শ্বিক প্রতিকূল পরিবেশে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর লালিত আদর্শের ধারাবাহিকতায় আওয়ামীলীগের রাজনীতি প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বাজিতপুর উপজেলার শাহপুরের বড়বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করা মোজাম্মেল হক ব্যবসায়ের পাশাপাশি সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহযোগিতার হাত বাড়ান। দরিদ্র শিক্ষার্থী, অসুস্থদের চিকিৎসাসহ নানান সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের স্নেহভাজন এই প্রবাসী ব্যবসায়ী ভবিষ্যতে তার আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডকে আরো বেগবান করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। প্রবাসী ব্যবসায়ীদের সংগঠন এনআরবি’র সম্মেলন-২০১৮ তে যোগদান শেষে তার সাথে কথা বলেন আমাদের নিকলী ডটকম-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আজমল আহছান। কথোপকথনের বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
আজমল আহছান : আপনি সর্বশেষ কখন দেশে এসেছেন? বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি?
মোঃ মোজাম্মেল হক : আমি গত ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশে এসেছিলাম NRB (Non resident Bangladeshi Global Business Convection)-এ যোগ দেয়ার জন্য। এই সম্মেলনে আমি সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে আমন্ত্রিত হই।
NRB হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আমাদের মূল উদ্দেশ্য প্রবাসীরা কিভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত হতে পারে তা পর্যালোচনা করে দেখা। এ ব্যাপারে তিনদিন ব্যাপী দীর্ঘ আলোচনা হয় এবং উক্ত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন : মাননীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীসহ অর্থ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। আলোচনার বিষয়গুলো ছিলো :
ক। বছরের যে কোন একটি দিনকে NRB DAY ঘোষণা করা।
খ। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতাসমূহ নিরূপণ করা।
গ। সমস্যা সমাধানকল্পে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বিত ওয়ান স্টপ সেল গঠন করা।
ঘ। প্রবাসীদের বিনিয়োগকৃত অর্থের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
ঙ। প্রবাসীদের সমস্যা সমাধান ও সহজিকরণের জন্য মন্ত্রণালয়সমূহে বিশেষায়িত আলাদা ডেস্ক স্থাপন করা।
চ। প্রবাসীরা কোন কোন সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারে তা চিহ্নিত করা।
ছ। প্রবাসীরা বিমানবন্দরে যে হেনস্থার শিকার হন তার প্রতিকারে ব্যবস্থা নেয়া।
জ। প্রত্যেক প্রবাসীকে বীমা সুবিধা প্রদান করা।
ঝ। শুধুমাত্র বাংলাদেশী প্রবাসীদের বিনিয়োগের জন্য আলাদা শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা ইত্যাদি।
প্রবাস জীবনে কিভাবে গেলেন ও প্রবাসে আপনি কোন ধরনের ব্যবসায়ের সাথে সম্পৃক্ত?
উত্তর : ১৯৯১ সালে চারদলীয় জোটের নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক সহিংসতা, অত্যাচার, নির্যাতন এবং ১৪-১৫টি মামলা নিয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই আমি ১৯৯২ সালে সৌদি আরবে পাড়ি জমাই। তারপর ২০০০ সাল থেকেই চাকরির ফাঁকে ব্যবসা শুরু করি। বর্তমানে আমার রেস্টুরেন্ট, কনস্ট্রাকশন ফার্ম, সুপার মার্কেট ও ফার্নিচারের কারখানা রয়েছে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চারশ’র অধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে যাদের ৯৮% বাংলাদেশী।
আপনার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কিছু বলবেন।
উত্তর : আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারে আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। আমার বাবা, বড়ভাই, চাচারা সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। সুতরাং বংশানুক্রমেই আমি আওয়ামীলীগার। আমি ১৯৮৮ সালে ৮ম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায়ই বাজিতপুর থানা শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ গঠন করি। আমিই শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের প্রথম এবং প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আসি এবং ১৯৯০-৯১ সালে গণআন্দোলন ও এরশাদবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমার অগ্রণী ভূমিকা ছিল।
দেশের বাইরে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় কতটা স্বাচ্ছন্দ্য রয়েছে?
উত্তর : পরবর্তীতে সৌদি আরব চলে আসার পরও আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেমে থাকেনি। সৌদি আরবের কঠোর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ এবং প্রবাসীদের জন্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ; তথাপি বিএনপি-জামায়াতের প্রচণ্ড প্রভাবের মধ্যেও আওয়ামীলীগের কর্মী সংগ্রহ ও দল গোছানোর কাজে হাত দেই। এখানে সরাসরি রাজনৈতিক দলের নামে কর্মকাণ্ড চালানো সম্ভব নয়; তাই বঙ্গবন্ধু পরিষদের ব্যানারে দলীয় কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানসমূহ পালন করি। এই সকল রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। সৌদি আরবে এই সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা মোটেই সহজ ছিল না। এক সময় এখানে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের জন্য আওয়ামীলীগের লোকজন কোণঠাসা হয়ে থাকত। বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করতে পারত না। বিভিন্ন সময় জামায়াত-বিএনপির লোকজন আমাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য সৌদি প্রশাসন নিয়ে অপচেষ্টা করেছে এবং কমপক্ষে চারবার আমাকে ও আমার অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে। এত কিছুর পরও আমরা দমে যাইনি। ধীরে ধীরে আমরা সংগঠিত হয়েছি এবং বর্তমানে অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে আছি। আমি অত্যন্ত গর্বিত এই জন্য যে, সৌদি আরবে একটি খুবই নাজুক অবস্থা থেকে আওয়ামীলীগের লোকজনকে একত্রিত করে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক অবস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পেরেছি।
বিদেশে যেতে কর্মীদের সাধারণত কোন কোন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়?
উত্তর : বাংলাদেশ থেকে যারা সৌদি আরবে এসে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন এসবের জন্য প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোই দায়ী। এজেন্সিগুলোর অনেক বেশি টাকা নেয়া, কাজের ধরন সম্পর্কে সঠিক তথ্য না দেয়া, বেশি বেতনের প্রলোভন দিয়ে লোক পাঠানো, এসব কারণে প্রবাসীদের সাথে মালিকপক্ষের ভুল বুঝাবুঝি এবং কর্মীদের কাজের প্রতি অনীহা ও হতাশাই সমস্যার মূল কারণ।
সৌদিতে প্রবাসী ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশীদের প্রতি আপনি কোন ধরনের দায়িত্ব পালন করে থাকেন?
উত্তর : বাংলাদেশ থেকে যারা সৌদি আরবে এসে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হন তাদের সবরকম সহযোগিতা দিয়ে যতদূর সম্ভব আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করে থাকি। কফিল (ব্যক্তি মালিক) বা কোম্পানির সাথে কোনো সমস্যা থাকলে প্রাথমিকভাবে আমরা কোম্পানি বা কফিলের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে থাকি; না হলে সৌদি আরবের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বা কখনো কখনো বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতার মাধ্যমে সমাধান করা হয়।
কোনো বাংলাদেশী যদি দুর্ঘটনাজনিত বা অন্য বড় কোনো অসুস্থতার জন্য আর্থিক সমস্যায় পড়েন তাহলে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি।
অনেক বাংলাদেশীই তাদের নির্দিষ্ট কাজের বাইরে কাজ করে থাকেন যেটা সৌদি আরবের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। প্রায়শই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব কাজের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরকম খবর পাওয়ামাত্রই তাদের ছাড়িয়ে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে থাকি।
যারা ফ্রি ভিসায় কাজ করেন বা অনেক কম বেতনে কাজ করেন তারা কখনো কখনো দীর্ঘদিন কাজের বাইরে থাকার কারণে নতুন আকামা (ওয়ার্ক পারমিট) বানাতে গিয়ে আর্থিক সমস্যায় পড়েন সেগুলোর সমাধান ও কাজের ব্যবস্থা করে দেয়ারও যথাসাধ্য চেষ্টা করি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সহযোগিতায় সৌদি পূর্বাঞ্চলীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির ছেলেমেয়েদের জন্য স্কুল ও সৌদি কর্তৃপক্ষ থেকে স্কুলের জমি অধিগ্রহণ, বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-দাম্মাম সরাসরি ফ্লাইট এবং সৌদি আরবে বাংলাদেশী কমিউনিটির দৈনন্দিন প্রয়োজনে সকলের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকল কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকি।
বাংলাদেশ থেকে যারা হজ্জ করতে আসেন তারা বেশিরভাগই বয়োবৃদ্ধ। আমি প্রতিবারই মক্কা ও মদিনায় যাই তাদের সাথে, বিশেষ করে বাজিতপুর ও নিকলীবাসীদের সাথে দেখা করি। স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেই, তাদের সাথে কিছু সময় কাটাই যেন তারা মানসিকভাবে সাহস শক্তি পান। হাজী সাহেবরা দেশের মানুষকে কাছে পেলে তাদের মনোবল বাড়ে, ভরসা পান। তাদের সান্নিধ্যে এসে আমার নিজেরও ভালো লাগে।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সৌদি আরবে প্রতিবছর অসুস্থতা ও দুর্ঘটনাজনিত কারণে অনেক লোক মৃত্যুবরণ করেন। তাদের নিকটাত্মীয় কেউ না থাকার জন্য তাদের মৃতদেহ বা তার অর্জিত অর্থ দেশে পাঠানো বা মৃতদেহ স্থানীয়ভাবে সৎকার করতে হলে কিছু আইনগত সীমাবদ্ধতা আছে। সেজন্য বেশকিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়। পরিবারের দায়িত্বশীল লোকদের সাথে যোগাযোগ করে সেগুলোর ব্যবস্থা করা এবং বাংলাদেশের স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সেসব কাগজপত্র প্রস্তুত করে বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির মাধ্যমে সৌদি কর্তৃপক্ষকে দিতে হয় এটি বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তারপরও যথাসাধ্য করার চেষ্টা করি। এগুলো কারো দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে নয়, আমার মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই করে থাকি।
দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে কি?
উত্তর : কোনো লোক মারা গেলে খুব সহজেই জানতে পারি। কারণ সৌদি আরবের ছোট-বড় সব শহরেই আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম আছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আছে, সেজন্য সংবাদ পেতে কোনো সমস্যা হয় না। তবে অনেক সময় কাগজপত্র তৈরিতে জটিলতার কারণে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। এসব করতে গিয়ে সময়ক্ষেপণ ছাড়া তেমন কোন তিক্ত অভিজ্ঞতা নেই।
প্রবাসে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আঞ্চলিকতার কোনো প্রভাব অনুভব করেন?
উত্তর : আমি ব্যক্তিগতভাবে বাজিতপুরের বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন যাবত বঙ্গবন্ধু পরিষদ সৌদি আরবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। এটি কোনো এলাকাভিত্তিক সংগঠন নয়, একটি জাতীয় সংগঠন এবং দেশের সব অঞ্চলের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সমস্ত মানুষের প্রাণের সংগঠন। তাই বাংলাদেশের সব অঞ্চলের মানুষের জন্য আমার দুয়ার অবারিত এবং সমানভাবে কাজ করে থাকি। তাদের হাসি-আনন্দ দুঃখ-দুর্দশায় সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমি স্বপ্ন দেখি যাতে দেশের মানুষের জন্য আরো বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে পারি। যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাকে সে সুযোগ দেন তাহলে দেশের আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা সম্প্রসারণ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আত্মনিয়োগ করব।
আঞ্চলিক কোনো সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন? ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে বলবেন।
উত্তর : আমার নিজ এলাকা বাজিতপুরে কোন লাইব্রেরি আমি পরিচালনা করি না। তবে লাইব্রেরিয়ান সাহেবকে নিয়মিতভাবে আমার আব্বা-আম্মার নামে পরিচালিত ইসমাইল সালমা ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকি। আমরা স্কুলগামী দরিদ্র শিক্ষার্থী, অসুস্থ ব্যক্তিবর্গ, প্রসূতি মহিলাদেরকে আর্থিক সহায়তা এবং দরিদ্র মেয়েদের বিবাহকালীন সময়েও আর্থিকভাবে সহায়তা করে থাকি। ভবিষ্যতে এই কার্যক্রমকে আরো ব্যাপকভাবে আমার পার্শ্ববর্তী থানা নিকলীতেও সম্প্রসারণ করার ইচ্ছা আছে; যাতে আরো বেশি মানুষকে এই সেবার আওতায় নিয়ে আসতে পারি ও তাঁদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারি।
রাজনীতিতে কাকে আপনার আদর্শ মনে করেন?
উত্তর : আমার রাজনীতিতে আসার একমাত্র আদর্শ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র এবং বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুযায়ী ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, স্বনির্ভর ও উন্নত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সক্রিয় অংশগ্রহণই আমার লক্ষ্য উদ্দেশ্য। একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ আমার স্বপ্ন। কার্যকর সংসদ, জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা ও শক্তিশালী অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশ আমার প্রত্যাশা।
আপনার ব্যস্ততম জীবন থেকে মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
উত্তর : আপনাকে এবং নিকলী উপজেলাকেন্দ্রিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম আমাদের নিকলী ডটকম-এর সাথে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ। আমার আদর্শ ও উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট। আদর্শ চর্চার মধ্য থেকেই আমার নিজস্ব অঞ্চল নিকলী-বাজিতপুরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখার চেষ্টা করছি। এই কার্যক্রমে আমি সকলের দোয়া প্রত্যাশী।