সৈয়দা জাহানারা খাতুনের দাফন সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি ।।

নিকলী সদর ইউনিয়নের সৈয়দা জাহানারা বেগম গত রাত (রোববার দিবাগত রাত) ১২টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর মিরপুরস্থ আল হেলাল স্পেশালাইজড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত নানান সমস্যায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিলো ৮৮ বছর। তিনি নিকলী পূর্বগ্রামের এ এম শামছুল হকের (হক সাহেব) স্ত্রী। মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে, তিন মেয়ে, অসংখ্য নাতি-নাতনি ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমার স্বামী এ এম শামছুল হক (হক সাহেব) স্বাধীন হায়দ্রাবাদের বাদশা নিজামের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ছিলেন।

মরহুমার নামাজে জানাজা নিকলী কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সোমবার ২৭ নভেম্বর বাদ আসর অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাঁকে দরগাহ হাটি কবরস্থানে দাফন করা হয়। আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন তার নাতি, আমাদের নিকলী ডটকম-এর বিশেষ প্রতিনিধি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ঢাকাস্থ নিকলী সমিতি ও আমাদের নিকলী ডটকম পরিবার।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা কারার গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কারার সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। জানাজা পরিচালনা করেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রকিব।

মরহুমা হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জের রামশ্রী সাহেববাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ খলিলুর রহমান ছিলেন রাজনীতিবিদ ও সিলেটের একজন আইনজীবী। তার চাচা সৈয়দ সামিউর রহমান ছিলেন বৃটিশ ভারতের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি সৈয়দ নাসির উদ্দিন সিপাহশালার (রঃ) মুরারবন্দ-এর সরাসরি বংশধর ছিলেন। মরহুমার তিন ছেলেই আইনজীবী। বড় ছেলে নিকলী সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এ এম ছলিমুল হক, মেঝো ছেলে এম সাজ্জাদুল হক দুদকের পিপি এবং ছোট ছেলে সাবেক ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ এম শওকতুল হক।

Similar Posts

error: Content is protected !!