খাইরুল মোমেন স্বপন, বিশেষ প্রতিনিধি ।।
নিকলীতে দুই দিনে স্কুলছাত্রীসহ দুইজন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সোমবার রাতে নিকলী থানা পুলিশ সাজন (২২) নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। সাজন মজলিশপুর বড়হাটি গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে।
নিকলী থানা ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে নিকলী উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের এক কৃষক দম্পতি তাদের মেয়েকে (১৩) রেখে বাড়ির নিকটবর্তী মরিচ ক্ষেত পরিচর্যা করতে যান। দুপুরে বাড়ি ফিরে মা ঘরের দরজা বন্ধ ও মেয়ের সাড়াশব্দ না পেয়ে ডাকাডাকি করেন। এ সময় একই এলাকার আবু তালেবের ছেলে উবায়দুরকে (১৭) ঘরের ভিতর থেকে দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন।
দ্রুত ঘরে ঢুকে মুখে গামছা বাঁধা ও অস্বাভাবিক অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পান তারা। উবায়দুর মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে বলে ওই মেয়ে তার পিতামাতাকে জানায়। ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে উবায়দুরের নামে মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে উপজেলার আবিরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মজলিশপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীর (১৭) সাথে বছরখানেক আগে একই এলাকার বড়হাটি গ্রামের কলেজ পড়ুয়া সাজনের মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের সূত্র ধরে নিয়মিত ওই ছাত্রীর বাড়িতে যাতায়াত করে সাজন। ৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় সাজন ওই ছাত্রীর বাড়ির একটি দোতলা ঘরে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে। ছাত্রীর বড়ভাই বাদী হয়ে পরদিন নিকলী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তকারী নিকলী থানার এসআই সমরেন্দ্র দত্ত জানান, ধর্ষক প্রেমিক সাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।