গাছগুলো নিকলী-কিশোরগঞ্জ সড়কের মরণ ফাঁদ!


বিশেষ প্রতিনিধি ।।

নিকলী-কিশোরগন্জ যাতায়াতের একমাত্র সড়ক পথ নিকলী-কিশোরগন্জ রাস্তার মাঠেরবাজার পার হয়ে বরইতলা যাওয়ার পথে বনবিভাগ কর্তৃক সামাজিক বনায়ন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, পরিবেশ অনুকূল রাখা ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য রাস্তার দু’পাশে শিশুগাছ (ইউক্যালিপটাস), নানান ফলদ গাছসহ বিভিন্ন প্রকারের গাছ লাগানো আছে। সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের গাছগুলোর বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। ফলদ গাছগুলো মৌসুমের বিভিন্ন সময়ে ফলে ভরে উঠে ও এসবের সুবিধা ভোগের জন্য সমাজের একটি শ্রেণী চিহ্নিত করা আছে বনবিভাগ ও সরকার কর্তৃক।

রাস্তার পাশের গাছগুলো মরে গেছে বহুদিন। বেশ কিছুদিন আগে এই মৃত গাছগুলো বিক্রির জন্য টেন্ডার হয়েছিল। বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যখন তখন ভেঙে পড়ে রাস্তায়।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাঠেরবাজার এলাকার প্রবীণ ও একজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা হলে তিনি জানান, মাঠেরবাজার থেকে বরইতলা পর্যন্ত ফলদ ও শিশুগাছ মিলিয়ে প্রায় ১৫৭টি গাছ নাম্বারিং করা হয়। সে মোতাবেক ১৫৭টি গাছ কাটা হবে। রাস্তার পাশে থাকা শিশুগাছগুলো বেশ অনেকদিন যাবত মৃত ও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কেটে ফেলা খুবই জরুরি। নিকলী, কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ও আশপাশের এলাকার লোকজনের জেলা শহরে যাতায়াতের জন্য একমাত্র রাস্তা এটিই। তাই গাছগুলো কাটা হলে যানবাহন চলাচল ও লোকজনের চলাচলে নিরাপত্তা থাকবে। তিনি ও এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী এলাকাবাসী বনবিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গাছগুলো কাটার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা বন কর্মকর্তা মমিনুল হক ভূইয়ার সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ৬-৭ মাস আগে নিলাম হয়েছিল; কিন্তু সেই নিলামে একজন মাত্র ঠিকাদার দরপত্র দেয়ায় দরপত্রের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। নিলামে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারের নাম ছিল সাহাবুদ্দিন, টিনপট্টি, কিশোরগঞ্জ। নিলামের নিয়মানুসারে সাধারণতঃ তিন বা তার অধিক ঠিকাদার দরপত্র দাখিল করলেই কেবল নিলাম কার্যকর করা সম্ভব হয়। সেক্ষেত্রে দরপত্র দাখিলকারীর সংখ্যা ও দরের হিসাবটিও থেকে যায়। এর কোন একটি শর্ত অপূরণীয় হলেও নিলাম সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।

তবে তিনি একটি আশার বাণী শোনান। পুনরায় নিলাম আহ্বান করা হয়েছে ১৫ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখে। সে নিলামে বেশ কয়েকজন ঠিকাদার দরপত্র দাখিল করেছেন। নিলামের নিয়মানুবর্তিতা যাচাই বাছাই করে এই সপ্তাহের মধ্যে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ছবি সংগ্রহ : কারার ইমরান মাহাদী নিয়ন

Similar Posts

error: Content is protected !!