খাইরুল মোমেন স্বপন, বিশেষ প্রতিনিধি ।।
নিকলীতে স্কুলছাত্রী (১৪) অপহরণের ২ মাস পেরিয়ে গেলেও সন্ধান মিলছে না। নিকলী থানা পুলিশ অপহৃতকে উদ্ধারে রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে বলে অপহৃতের পরিবারের দাবি।
মামলা ও অপহৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিকলী উপজেলা সদরের বড়হাটি গ্রামের এক হোটেল ব্যবসায়ীর কন্যা ও নিকলী শহীদ স্মরণিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীটিকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো ইসলাম (২৪)। ইসলাম একই এলাকার অফিসপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় একটি ডেকোরেটর দোকানের শ্রমিক।
স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার ইসলামের পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। এতে ইসলাম আরো বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। গত ১৫ অক্টোবর সকালে বিদ্যালয়ের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় ওই ছাত্রী। নিকলী উপজেলা পোস্ট অফিসের সামনে পৌঁছলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা ইসলাম ও তার সহযোগীরা ছাত্রীটির পথ রোধ করে। মোটর সাইকেলে উঠিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ছাত্রীর পরিবার মেয়েকে ফেরত আনতে ইসলামের বাড়িতে গেলে ইসলামের অভিভাবকরা অপহৃতকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেয়। অপহৃতার পিতা নিকলী থানার সহযোগিতা চাইলে থানা পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। অবশেষে ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে গত ২৬ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৬জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৫(১১)১৭। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আটক না করায় নিকলী থানা পুলিশ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে বলে বাদীর অভিযোগ।
এ বিষয়ে জানতে নিকলী থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ (প্রশাসনিক) মো. নাসির উদ্দিন ভূইয়ার সাথে মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি প্রতিবেদকের ফোন রিসিভ করেননি। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সমরেন্দ্র দত্ত জানান, অপহৃতকে উদ্ধারে সোর্স লাগানো হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার জরুরি তাই অন্যান্য আসামিদের আটক করা হচ্ছে না।