আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
ইসলাম মানবকল্যাণ, ত্যাগ ও পরোপকারের ধর্ম। এ ধর্ম কখনও অন্যের চিন্তা বাদ দিয়ে শুধু নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থাকা সমর্থন করে না।
ইসলাম চায় একে অন্যের সাহায্য-সহযোগিতার মধ্য দিয়ে গড়ে তুলতে একটি সমৃদ্ধ ভ্রাতৃসমাজ। এ জন্য এখানে রয়েছে ধনী-গরিবের জন্য নানা দায়িত্ব ও কর্তব্য।
তা ছাড়া ইসলাম ধর্মে গোপন দান, গোপন ইবাদত-বন্দেগি অধিক পছন্দনীয় এবং আল্লাহতায়ালার কাছে গ্রহণীয়; যদি তা ব্যাপক মানবকল্যাণ ও মানবসেবার জন্য হয়ে থাকে।
অবশ্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে দানের জন্যও বলা হয়েছে এ জন্য, যার দেখাদেখি অন্যরা উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ হয়।
এ প্রসঙ্গে সহিহ বোখারি ও মুসলিম শরিফে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, দু’ব্যক্তির কাজেই শুধু ঈর্ষা করা যায়। একজন ওই ব্যক্তি যাকে আল্লাহতায়ালা সম্পদ দান করেছেন। তাই তাকে তা সৎ পথে ব্যয় করার সামর্থ্য দিয়েছেন। অপরজন হলেন তিনি, যাকে আল্লাহতায়ালা জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করেছেন এবং তিনি সে অনুযায়ী বিষয়াদির মীমাংসা করেন। আর এ জ্ঞান অন্যকে শিক্ষা দেন।
ইসলামের শিক্ষায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে সৌদি আরবের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাগরিকরা দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য গাছে কম্বল ঝুলিয়ে রাখছেন। বিষয়টি একটু অবাক হওয়ার মতো হলেও এটা বাস্তব ঘটনা।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিয়াদে চলতি বছর তুলনামূলক বেশি শীত পড়বে। শীতের তীব্রতা বিগত কয়েক বছরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এমন তীব্র শীতে যেনো অভাবী মানুষ কষ্টে না ভুগেন, এজন্য দেশটির ধনী নাগরিকরা রিয়াদের গাছে গাছে ঝুলিয়ে রাখছেন কম্বল। যেনো অভাবী মানুষটি এখান থেকে নিঃসঙ্কোচে কম্বল নিয়ে তার প্রয়োজন মেটাতে পারেন।
সম্প্রতি টুইটারে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রিয়াদের রাইয়ান জেলার রাস্তায় ঝুলছে সারি সারি কম্বল। যা অভাবী মানুষের জন্য রাখা হয়েছে।
টুইটটি করেছেন সুলতান আল মুসা। তিনি আশা করেছেন তার টুইটের কারণে কম্বল বিতরণে আরও উদ্বুদ্ধ হবে।
তবে এ কাজের সমালোচনাও করছেন কেউ কেউ। তারা বলছেন, রাইয়ান জেলায় উল্লেখ করার মতো দরিদ্র মানুষ বসবাস করেন না। দরিদ্রদের বাস হলো আল উদ, আল বিথা ও মানফুহাতে। কম্বলগুলো ওইসব এলাকায় ঝুলানো দরকার ছিলো। যাতে তা সঠিক মানুষের হাতে পৌঁছায়। আর মানুষের কিছু উপকার হয়। -আরব নিউজ অবলম্বনে
সূত্র : অভাবীদের জন্য গাছে ঝুলছে সারি সারি কম্বল [বাংলানিউজ, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭]