আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
যেখানে সেখানে পানের পিক, থুতু ফেলা একেবারে বন্ধ করতে এক অভিনব পন্থা নিচ্ছে মধ্য প্রদেশের ইন্দোর পৌরসভা। ধরা পড়লে আর্থিক জরিমানা তো হবেই, ছবি ছাপা হবে খবরের কাগজে। এমনকী রেডিওতেও তাদের নাম ঘোষণা করা হবে।
এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর ইন্দোর। ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযানে’র অংশ হিসেবে গত কয়েক বছর ধরেই কোয়ালিটি কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া ‘স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ’ সমীক্ষা চালায় দেশের ৪৩৪টি শহরে। পরিচ্ছন্নতার নিরিখে শহরগুলির র্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের কোনও শহর অবশ্য এই সমীক্ষার অন্তর্গত হয়নি। চলতি বছর দেশের সবচেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ইন্দোর।
এই স্বীকৃতি ভবিষ্যতেও ধরে রাখতে চায় বিজেপি পরিচালিত ইন্দোর পৌরসভা। শহর পরিচ্ছন্নতায় এগিয়ে থাকলেও, একটা অংশের নাগরিকের মধ্যে অপরিচ্ছন্নতার অভ্যাস এখনও রয়ে গিয়েছে।
রাস্তাঘাটে থুতু ফেলাটা এখনও একটা বড় সমস্যা। তাদের আটকাতেই অভিনব পন্থা ভেবেছেন শহরের মেয়র মালিনী গৌড়। প্রকাশ্যে ছবি, নাম ছাপানোর ভয়ে থুতু বা পানের পিক ফেলা কমানো যাবে বলেই মনে করেন তিনি।
তার কথায়, ‘নানাভাবে বলেকয়েও রাস্তায় থুতু ফেলা আটকানো যাচ্ছে না। আশা করি জনসমক্ষে এ ভাবে হেয় করা হলেই এ ধরনের কাজকর্ম বন্ধ করা যাবে।’
পৌরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে এই অভিযান চালাবে পৌরসভা। ইন্দোরের গান্ধি ভবন ও রিগ্যাল স্কোয়্যারের সংযোগস্থলের সেতু থেকেই শুরু হবে এই অভিযান। কিন্তু ওই জায়গাটিকে কেন বেছে নিল পৌরসভা?
পৌরসভার এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই সেতুর ডিভাইডারের গায়ে পানের পিক, থুতু ফেলাটা যেন অভ্যাসে পরিণত করেছেন শহরবাসীরা। আপাতত ঠিক হয়েছে, দোষীদের ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। পৌরসভার কর্মী ছাড়াও এই অভিযানে স্কুলপড়ুয়াদেরও শামিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ইন্দোরের মেয়র। আনন্দবাজার পত্রিকা
সূত্র : রাস্তায় পানের পিক, থুতু ফেললেই পত্রিকায় যাবে ছবি [ঢাকা টাইমস, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭]