সংবাদদাতা ।।
নিকলীতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি দামপাড়া ইউনিয়নের দামপাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের দিনমজুর জালালউদ্দিনের ছেলে হেলাল (১৫) বলে সনাক্ত করেন নিহতের বাবা-মা। জালালউদ্দিন তার স্ত্রী সরুফা খাতুন জীবন রার তাগিদে চট্টগ্রামে দিনমজুরের কাজ করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার মেঝো ছেলে হেলালকে গত চৈত্র মাসে একই এলাকার হাঁস-মুরগীর খামারে ও পাইকারি বিক্রেতা হাছুইন্নার ছেলে ইসরাফিলের খামারে খাদ্য-বস্ত্র ও বাসস্থানসহ শ্রমিকের কাজ করতেন। পরিচিত মোবাইল ফোনে খোঁজ খবর চলত হেলাল ও তার বাবা-মা। গত ১৭ জুন থেকে হেলালের কোনো খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না। মহাজনের কাজে হেলালকেও কোথাও পাঠানো হয়ে থাকতে পারে এমন ধারণাও আশ্বস্ত রেখেছিল তাদের। বাড়ির কাছাকাছি অজ্ঞাত লাশ পাওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরে বাড়ি আসেন সরুফা খাতুন ও তার স্বামী জালালউদ্দিন। নিকলী থানায় সংরতি আলামত পরনের লুঙ্গি-শার্ট ও ছবি দেখে মা সরুফা খাতুন তার ছেলে হেলাল (১৫)-এর লাশ বলে সনাক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন নিকলী উপজেলা খাদ্য গুদামের পশ্চিম পাশে কারপাশা ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের হাজী মোতালিবের ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের চারদিকে জালঘেরা একটি ফিশারি থেকে পানিতে ভাসমান লুঙ্গি দিয়ে দু পা বাধা অবস্থায় অর্ধগলিত একটি লাশ উদ্ধার করে নিকলী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় দামপাড়া ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ আমিন (৫০) বাদী হয়ে নিকলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২৪ জুন অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
এ ব্যাপারে নিকলী থানা ওসি একে,এম, মাহবুব আলম বলেন, লাশটির গায়ের শার্ট ও পা বাধা লুঙ্গি দেখে হেলালের বাবা মা তাদের পুুত্র বলে সনান্ত করেছেন।