আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, এলাকার জনগণ যাতে তাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্য মুক্তিযোদ্ধাদের নামে স্থানীয় সড়কের নামকরণ করা হবে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) বগুড়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের উদ্বোধন শেষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, শহীদ মিনার ভাষা আন্দোলনের প্রতীক। ভাষা শহীদদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধা জানানোর মতো স্থাপনা জেলা-উপজেলায় নেই। তাই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। বাসস
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের উপজেলা সদরের ব্যাংকে কষ্ট করে গিয়ে টাকা তুলতে হবে না। এ লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে নিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্রয়োজন। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান তথা পরিবারকেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সব জেলা-উপজেলায় বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে এবং সারাদেশের সব বধ্যভূমিতে একই রকম স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনে করা হবে। যাতে মানুষ দেখে সহজে চিনতে ও বুঝতে পারে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, বগুড়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা: মকবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।