আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
বাজিতপুরে পরকীয়ার জেরে জিয়া উল্লাহ জিয়া (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে কথিত স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। নিহত জিয়া উল্লাহ জিয়া উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়নের খাটেরা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পার্শ্ববর্তী বাহেরনগর গ্রামের ফুফাত বোনের বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার রাতে নিহত জিয়া উল্লাহ জিয়ার সঙ্গে থাকা কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেরা বেগম ঘটনার পর উধাও হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। নিহতের ভাই হারুন মিয়া বাদী হয়ে জাহেরাকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় মামলা করেছেন।
জানা গেছে, জিয়া উল্লাহ জিয়া একটি মাজারের ওরস থেকে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জালুয়াপাড়া গ্রামের আহাম্মদ আলীর মেয়ে জাহেরাকে (৩২) নিয়ে মঙ্গলবার রাতে বাহেরনগর গ্রামের ফুফাত বোন দেলোয়ারার বাড়িতে যায়। দেলোয়ারার স্বামী বাড়িতে না থাকায় জাহেরাসহ জিয়াকে দেলোয়ারার ঘরে থাকতে দিয়ে তিনি অন্য ঘরে গিয়ে ঘুমান। কিন্তু রাতের কোন এক সময় জিয়া খুন হন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনার পর থেকে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেরা পলাতক বলে বাজিতপুর থানার ওসি মো. সাইফুর রহমান মজুমদার পিপিএম জানিয়েছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাই হারুন মিয়া (৪৪) বাদী হয়ে জাহেরার নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা রুজু করেছেন। নিহত জিয়ার চার সন্তানসহ প্রথম স্ত্রী আছেন। তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীরও আগের সংসারে চারটি সন্তান রয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
তবে জাহেরা বেগম জিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে জনশ্রুতি রয়েছে। আসামি জাহেরাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও ওসি মো. সাইফুর রহমান মজুমদার পিপিএম জানিয়েছেন।
সূত্র : বাজিতপুরে পরকীয়ার জেরে খুন! [কিশোরগঞ্জ নিউজ, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮]