আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার কারণে সময়ে-অসময়ে লোকজন হাতছাড়া করতে চান না সাধের মুঠোফোনটি। আর তাই পথে-ঘাটে তো বটেই, বাথরুমের নিয়মিত সঙ্গীও হয়ে পড়েছে মোবাইল ফোন। তেমনই এক চায়নিজ ভদ্রলোক দীর্ঘ সময় মোবাইলে গেম খেলছিলেন কমোডে বসে। সেটিই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে পায়ুপথ ক্ষতিগ্রস্ত হলো তার।
ঘটনাটি ঘটেছে কুয়ালালামপুরে। কমোডে বসে মোবাইলে গেম খেলতে খেলতে সময়ের দিকে তাকাননি এই চায়নিজ লোক। হঠাৎ তিনি টের পান, তার পায়ুপথ থেকে নিম্নাঙ্গেরই খানিকটা অংশ বেরিয়ে পড়ে ঝুলতে থাকে। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে সাথে সাথে হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে যা শোনালেন, তাতে অবাক না হয়ে কোনো উপায় নেই!
প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে ওই ব্যক্তি ছুটে এসেছিলেন হাসপাতালে। সোজা হয়ে হাঁটতেও পারছিলেন না তিনি। কোনোমতে বন্ধুরা তাকে কোলে করে নিয়ে আসে। সাথে সাথে ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকরা জানান, দীর্ঘক্ষণ কমোডে বসে থাকায় তার পায়ুদ্বারটি আংশিকভাবে খুলে ঝুলে পড়েছে। এ জাতীয় ঘটনাকে বিরল বলে আখ্যা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, আধুনিক টয়লেটে মোবাইল হাতে বসে থাকার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ সিটে বসে থাকলে তলপেটে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই মোবাইল নিয়ে বাথরুমে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন তারা।
এছাড়াও ওই চায়নিজ ব্যক্তির মলত্যাগ করার অভ্যাস ঠিকমতো ছিল না। ফলে তার বৃহদন্ত্রের নিচের দিকের অংশটি ভারী হয়ে ছিল। ঘটনার দিন বাথরুমে প্রায় আধা ঘণ্টা বসে থাকায় তার মলদ্বারের ওপর অত্যধিক চাপ পড়ে। আর তার ফলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই ব্যক্তির তলপেটের সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। তাকে সতর্ক করা হয়েছে, এভাবে বাথরুমে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে এ রকম ঘটনা আবারও ঘটতে পারে। এমন আবার ঘটলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যুও হতে পারে। যদিও এ রকম ঘটনা ১০ লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র দুজনের ক্ষেত্রে ঘটে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস