সংবাদদাতা ||
মাদকের ভয়াল ছোবলে আক্রান্ত হয়ে উঠছে নিকলী উপজেলার শিশু কিশোরেরা| ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সের উঠতি শিশু-কিশোর, মাধ্যমিক স্কুলপড়ুয়া ছাত্র, নানান পেশার শ্রমিক দিনে দিনে নতুন করে মরণ নেশায় আসক্ত হয়ে উঠছে| এখানে উল্লেখযোগ্য মাদক হল দেশী মদ, গাজা, ভিবিন্ন ট্যাবলেট ডাউলোশন প্রস্তুত ঝাকী, ড্যান্ডী ও ইয়াবা| শিশু কিশোরেরা ড্যান্ডী, ঝাকি আর ইয়াবার প্রতি আসক্ত বেশি|
সূত্রে জানা যায়, নিকলী উপজেলার প্রায় শতাধিক স্পটে মাদক বিক্রি হয়| এ সকল স্পট থেকে নেশাগ্রস্থ শিশু কিশোরেরা সহজেই কিনে নেয় | সন্ধা থেকে রাত অবধি চলে মাদক সেবন| আড্ডা আর ঘুরাঘুরির ফাকে চলে মাদক সেবীদের তান্ডব| কিশোরেরা অভিভাবকের চোখে ফাকি দিয়ে চলছে প্রতিনিয়ত| প্রথম পর্যায়ে অভিভাবকরা মান সম্মানের ভয়ে প্রকাশ না করলেও নিয়মিত সেবন করার ফলে তা আর গোপন থাকছে না| উপজেলায় চলতি বছরে একাধিক মাদকসেবী ও বিক্রেতা গ্রেফতার হয়েছে, এমন কি অতিরিক্ত মাদক সেবনে একজনের মৃত্যুও হয়েছে| আরো অনেক মাদকসেবী ভিবিন্ন শারীরিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে| উপজেলার সদর, গুরুই, ছাতিরচর, জারুইতলা, দামপাড়া, কারপাশা, সিংপুরের একাধিক মাদকাসক্ত কিশোরের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাদকাসক্ত কিশোরেরা উপজেলার ভিবিন্ন ইউনিয়নের সমবয়সী কিশোরের সাথে সেল গঠন করে মাদকসেবী হয়ে উঠছে| এ অবস্থায় উদ্বীগ্ন হয়ে উঠছে ভোক্তভূগী অভিভাবক সমাজ| নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কিশোর মাদকাসক্তের অভিভাবক জানান, নেশায় আক্রান্ত ছেলেকে মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা করে এনেছি| আবারও পা বাড়িয়েছে নেশায়| আরেকজন চাকরীজীবী অভিভাবক বলেন, নেশায় আক্রান্ত ছেলের পড়ালেখা স্কুল পর্যায়েই শেষ হওয়ার পথে| পড়ালেখা বন্ধ করে এখন সন্তানের চিকিৎসা চলছে| সচেতন মহল মনে করছে, এখনি যদি মাদকের বিরুদ্বে সামাজিক আন্দোলন গড়ে না তোলে এবং মাদক বিক্রেতাদের আইনের আওতায় না আনে তাহলে আগামীতে আরো ভয়াবহ আকারে শিশু কিশোরেরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়বে|