মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী প্রতিনিধি ।।
দেশের শীর্ষ ইসলামি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসায় প্রথমবারের মতো আবাসিক ছাত্রদের ব্যবহৃত ২ বস্তা মোবাইল আগুনে পুড়িয়ে দিল মাদরাসা কতৃপক্ষ। রোববার রাতে ছাত্রদের কক্ষ তল্লাশী করে ২ বস্তা এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করে রাত ৯টার দিকে মাদরাসা মাঠে প্রকাশ্যে পেট্রল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় অনেক ছাত্র বিভিন্ন কক্ষ থেকে থাকিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, কওমী অঙ্গনের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ হাটহাজারী মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার সময় কোনো ছাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না বলে উল্লেখ থাকে। আদেশ অমান্যকারীকে বহিষ্কার করার ক্ষমতাও উল্লেখ রয়েছে। তার পরেও ছাত্ররা প্রয়োজনে বিভিন্ন মোবাইলের পাশাপাশি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেখা যায়। ছাত্রদের পড়ালেখার কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ বারংবার নিষেধ করলেও অনেকে প্রকাশ্যেও ব্যবহার করছে মোবাইল ফোন।
আগামী দেড় মাস পরে ছাত্রদের বার্ষিক পরীক্ষা ও গত ২/৩ দিন আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষকের সাথে ছাত্রের বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে গতকাল (সোমবার) মাদরাসা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সন্ধ্যা থেকে ২ ঘণ্টা মাদরাসার ছাত্রদের রুমে রুমে তল্লাশী চালিয়ে ২ বস্তা স্মার্টফোন জব্দ করা হয়। এতে আনুমানিক ৫-৬ শত সেলফোন ছিল বলে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান।
উল্লেখ্য, মোবাইল ফোন আগুনে পুড়ার কারণে শোক প্রকাশ করে হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক প্রবীণ শিক্ষক কাতেব ইলিয়াস সাহেবের ছেলে হাফেজ রিদুয়ান আরমান তার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। তার পর থেকে পক্ষে-বিপক্ষে চলতে থাকে ফেসবুকে নিন্দনীয় ঝড়। তবে মাদরাসার নিয়ম ও ছাত্রদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হঠাৎ এ উদ্যোগকে কেউ মেনে নিলেও আবার কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।