মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী প্রতিনিধি ।।
হাটহাজারীতে সোহেল রানা হত্যা মামলার আসামি শাহেদকে (১৮) আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ। বুধবার রাত ৮টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাটহাজারী সদর থেকে তাকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) আটককৃতকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। শাহেদ এই মামলার ২নং আসামি বলে সূত্রে জানা যায়। বুধবার রাতে নিহত সোহেলের পিতা বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যার মামলা রুজু করেছেন। মামলা নং ৮/১৮ ইং। ছেলে হত্যাকারী একজনকে আটকের খবর শুনে বাবা তার ফাঁসির দাবি ও পলাতক সকল আসামিকে আটক করে কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মার্চ সোমবার বিকাল চারটায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ফজু তালুকদার বাড়ির সামনে সোহেল রানা নামে এক যুবককে ইটের আঘাতে হত্যা করে “পাওয়ার বয়েজ” নামের একটি গ্রুপের কতিপয় সদস্যরা। গত জানুয়ারির মাঝামাঝি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন রেলওয়ে কালভার্ট এলাকায় সোহেলের পরিচিত জনের কাছ থেকে তারেকের অনুসারীরা একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে সোহেল ও তার বন্ধুরা মিলে তারেকের অনুসারীদের কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে মালিককে ফিরিয়ে দিলে গ্রুপটির সদস্য তারেকের সাথে সোহেলের বিরোধের সূত্রপাত হয়। এরপর ওই গ্রুপের ছেলেরা সোহেল রানার ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে আসছিল বলে একটি সূত্র জানায়।
এদিকে ৬ মার্চ মঙ্গলবার লাশের ময়নাতদন্তের পর বাদ আছর জানাযা নামায শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহতের বাবা মানিক মিস্ত্রি জানান, যারা আমার একমাত্র ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করে আমার বুক খালি করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। নিহত সোহেল রানা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর গ্রামের মানিক মিস্ত্রির নতুন বাড়ির নূর মোহাম্মদ প্রকাশ মানিক মিস্ত্রির ছেলে।
মডেল থানার ওসি বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আটকৃতকে বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিকে আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।