মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী প্রতিনিধি ।।
হাটহাজারী উপজেলার ধলই ইউনিয়নস্থ কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি আপন দাশ (৫০) নামে এক ব্যক্তি তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। ১১ মার্চ (রোববার) বিকাল সাড়ে তিনটার সময় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ে পড়ুয়া বড় ভাইয়ের জন্য টিফিন নিয়ে যায় নিজের ছোট বোন ও তার এক সহপাঠী। এসময় লম্পট ধর্ষকের চোখে পড়ে তারা। তারপর তাদের থেকে টিফিন নিয়ে ধর্ষিতার সহপাঠীকে নিচে দাড়াতে বলে ওই দপ্তরি। ধর্ষিতা শিক্ষার্থীকে দ্বিতলায় তার ভাই আছে বলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
এরপর তাকে রক্তাক্ত মুমূর্ষ অবস্থায় সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয় আপন দাশ। আসতে দেরি হওয়ায় নিচে দাঁড়িয়ে থাকা তার সহপাঠী শিক্ষকদের জানালে তারা তাকে এদিক সেদিক খুঁজতে থাকে। কোথাও না পেয়ে দেখতে যায় ছাদে থাকা সেফটি ট্যাংকে। সেখানে নাকে মুখে রক্তাক্ত মুমূর্ষ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে।
তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষক ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে হাজার হাজার মানুষ এমন লম্পট ধর্ষককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এএসআই কফিল উদ্দীন বলেন, কাটিরহাটে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার দায়ে ধর্ষককে আটক করে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। এরপর আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষক আপন দাশকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে গেলে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষের রোষাণলে পড়ে। তবে এমন অবস্থায় লম্পটকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে অনেক হিমশিম খেতে হয়েছে আমাদেরকে।