তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রাচ্য পলাশ নির্মিত দু’টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র সরকারি তথ্য বাতায়নে মুক্তি পেলো। প্রামাণ্য চলচ্চিত্র দু’টি হলো- প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কার্যক্রম, সেবা ও উন্নয়ন বিষয়ক ‘সমৃদ্ধির স্পন্দন’ ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখা উদ্যোক্তাদের সাফল্যগাঁথা বিষয়ক ‘লাইভস্টক হিরোজ ২০১৮’।
প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘সমৃদ্ধির স্পন্দন’-এর পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী; গ্রন্থনা ও পরিচালনা করেছেন প্রাচ্য পলাশ। বিশ মিনিট দীর্ঘ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটিতে প্রাণিসম্পদের অপরিহার্যতা, প্রাণিসম্পদে সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কাঠামো-সেবা প্রদান ও অগ্রগতি, অর্থনৈতিক গতিশীলতায় প্রাণিসম্পদের বহুমুখী ভূমিকা ও নিবন্ধিত কয়েকটি খামারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্য বাতায়নে মুক্তি পাওয়া অপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘লাইভস্টক হিরোজ ২০১৮’তে উঠে এসেছে এক কালের অপুষ্টি-অনাহারে জর্জরিত বাংলাদেশের খাদ্যে ও প্রাণিজ আমিষে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে নেপথ্য কারিগরদের সাফল্য গাঁথা। শান্ত মাল্টিমিডিয়ার কারিগরি সহযোগিতায় নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ করেছেন বিএইচকে হৃদয় খান ও আহমেদ জনি। প্রাকৃত প্রডাকশন এ- এ্যাডভার্টাইজিং-এর ব্যানারে নির্মিত ৩৪ মিনিট দীর্ঘ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটিতে সৌখিন পাখি পালন, পোল্ট্রি ও ফিস ফিড উৎপাদন, গাভী পালন, ভেড়া পালন, ব্ল্যাকবেঙ্গল ছাগল উৎপাদন ও পালন, মুরগী পালন ইত্যাদি খামার ও কারখানা গড়ে তোলার মাধ্যমে খাদ্য ও প্রাণিজ আমিষে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠা চিত্রিত করা হয়েছে।
তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রাচ্য পলাশ জানান, অপুষ্টি-অনাহারে জর্জরিত যে কোনো জাতির খাদ্য-প্রাণিজ আমিষে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নিঃসন্দেহে আরেকটি বিজয়, যা বিশ্ববাসীর কাছে অনেকটা বিস্ময়ের। আর এ বাস্তব-সত্য সুন্দর সময়টির যুগশ্রষ্টা নেপথ্য নায়কদের ভূমিকা তাই গোটা জাতির জন্যই গর্বের-সম্মানের। যাঁদের সাফল্যের আঁচড় বেয়ে জাতির নতুন বিজয় অর্জন, মূলত তাঁদের সাফল্য গাঁথা নিয়েই প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘লাইভস্টক হিরোজ ২০১৮’ নির্মিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি