আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এএসআই মুখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে এক বধির শিশুকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলার অভিযোগ ওঠেছে। তোফাজ্জল হোসেন (১৩) নামের এ শিশুটিকে গুরুতর অবস্থায় কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কটিয়াদী উপজেলার সীমান্তবর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের মান্দারকান্দি গ্রামে এ বর্বরোচিত ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগে জানা গেছে, পাকুন্দিয়া উপজেলার মান্দারকান্দি গ্রামের চা দোকানি মিলন মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশি ফালু মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি ফালু মিয়া এ ব্যাপারে আদালতে অভিযোগ করলে আদালত ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ প্রদান করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশকে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পাকুন্দিয়া থানার এএসআই মুখলেছুর রহমান আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারির এ নোটিশ নিয়ে মান্দারকান্দি গ্রামের মিলন মিয়ার বাড়িতে যান। এ সময় বাড়ির সামনে মিলন মিয়ার বধির শিশু সন্তান তোফাজ্জলকে মিলন মিয়া কোথায় জিজ্ঞেস করে। কিন্তু; বধির শিশু তোফাজ্জল দারোগা মুখলেছের এ প্রশ্ন শুনতে এবং উত্তর দিতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে তোফাজ্জলের কানচাপায় প্রচন্ড জোরে চড়-থাপ্পড় দেন। আর তাতে তোফাজ্জল অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাকে গুরুতর অবস্থায় পার্শ্ববর্তী কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্ভি করা হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম সরকার (পিপিএম) যুগান্তরের কাছে স্বীকার করেন, এএসআই মুখলেছুর রহমান ১৪৪ ধারার নোটিশ নিয়ে মান্দারকান্দি গ্রামে গিয়েছিলেন এবং এ অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে।
সূত্র : দারোগার থাপ্পরে বধির শিশু অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে! [যুগান্তর, ৭ এপ্রিল ২০১৮]