মহাস্থান (বগুড়া) প্রতিনিধি ।।
বগুড়া সদরের চাঁদমুহা সরলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রলোভন ও পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক বগুড়া সদরের রজাকপুর গ্রামের সোলায়মান আলীর ছেলে ফারুক হোসেন বাবু দীর্ঘ ২ বছর আগে থেকে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে রাখে।
ভিডিওটি গত ২ দিন আগে প্রকাশ পেলে রোববার (৮ এপ্রিল) বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লম্পট বাবুর ফাঁসির দাবিতে বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের সামনের নামুজা বগুড়া সড়ক অবরোধ করে রাখে। সংবাদ পেয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর এ সার্কেল সনাতন চক্রবর্তী, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদ হোসেন, ওসি (তদন্ত) কামরুজ্জামান মিয়া ও গোকুল ইউপি চেয়ারম্যান সওকাদুল ইসলাম সরকার সবুজ ঘটনাস্থলে পৌছে লম্পট বাবুকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির আশ্বাস প্রদান করলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
এ ব্যাপারে অত্র বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী হাসান, ছাত্রী মীম আক্তার, ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ইশা মনির সাথে কথা বললে তারা জানান, লম্পট নারীলোভী লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক ওমর ফারুক বাবুর ফাঁসি চাই। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য আলী রেজা তোতন ও প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তারা জানান, বাবুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরলপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর পিতা জানান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও চাঁদমুহা সরলপুর যুব সংঘের নেতৃবৃন্দের বরাবরে লম্পট বাবুর শাস্তি চেয়ে পৃথক পৃথক ২টি আবেদন করেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিককে (বাবুর ভায়রা) আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে সচেতন অভিভাবক মহল ও এলাকীবাসী অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান প্রশাসনের প্রতি।