আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
সরকারি বিভিন্ন তথ্য সেবা, কর্মকর্তাদের তথ্য, বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার প্রতিকার এবং পর্যটন ও জেলা সম্পর্কিত যেকোন তথ্য যে কোন সময় সকল নাগরিককে পৌঁছে দিতে চালু হল কল সেন্টার ৩৩৩। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় প্রধান অতিথি হিসেবে এই কল সেন্টার (৩৩৩) সেবার উদ্বোধন করেন। বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়ের করবি হলে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।
এতে গেস্ট অব অনার ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় বলেন, আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা ও স্বপ্ন ছিল ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রথম দায়িত্ব নেয় এটুআই। এটুআই-এর সফলতার ফলে আমরা একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারি সেবা যাতে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষজনও পেতে পারে। তার জন্যই আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলেছি, থ্রী-জি এবং ফোর-জি চালু করেছি। দেশের মানুষকে আর সেবার জন্য সরকারি অফিসে দৌঁড়াতে হবে না। সেবাই তাদের হাতের মুঠোয় চলে যাবে। এখন আমাদের টার্গেট হলো ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তর করার। আশা করছি তার আগেই আমরা সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো। আওয়ামী লীগকে আপনারা যতদিন ভোট দিয়ে ক্ষমতায় রাখবেন এভাবেই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখা হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা ২০০৮ সালে যেই স্বপ্ন দেখেছি সে সময় তা ছিল একটা অবিশ্বাস্য স্বপ্ন। কৃষিভিত্তিক একটি দেশকে এভাবে এতো দ্রুত এগিয়ে নেয়া সত্যিই অনেক কঠিন ছিল। ৩৩৩-এর মাধ্যমে তথ্য ও সেবা কার্যক্রম এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে।
‘সরকারি তথ্য ও সেবা সবসময়’ এমন স্লোগানকে সামনে নিয়ে চালু হলো কল সেন্টার ৩৩৩। দেশের সকল নাগরিক ৩৩৩ এবং প্রবাসীগণ ০৯৬৬৬৭৮৯৩৩৩ নম্বরে কল করে সরকারী সেবা প্রাপ্তির পদ্ধতি, জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মচারীদের সাথে যোগাযোগের তথ্য, বিভিন্ন এলাকার পর্যটনের স্থানসমূহ এবং বিভিন্ন জেলা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। এ ছাড়াও কল সেন্টারের মাধ্যমে নাগরিকগণ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে প্রতিকারের জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তথ্য প্রদান ও অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন। এ ছাড়াও দুর্যোগকালীন সময়ে সাহায্যের জন্য জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করতে পারবেন। কল সেন্টারটি ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদান করবে। প্রাথমিকভাবে এটুআই প্রোগ্রাম কর্তৃক ৬৪টি জেলায় এই কল সেন্টার সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল। পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের আওতায় এই কল সেন্টারের মাধ্যমে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখের অধিক নাগরিককে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সেবা প্রদান করেছে। এ ছাড়াও প্রায় ৪ হাজারের অধিক বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলোর মধ্যে ৫৪১টি খাদ্যে ভেজাল, ৪৩১টি বাল্যবিবাহ এবং ৩৯১টি মাদকদ্রব্য বিক্রি সংক্রান্ত অভিযোগের ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। বাসস