মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী প্রতিনিধি ।।
দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীকে জাতীয় নদী ঘোষণা, নদীতে অভয়াশ্রম সৃষ্টি, মিল কারখানার দূষিত বর্জ্য থেকে হালদাকে রক্ষা, ডিম সংগ্রহকারীদের পরিচয়পত্র প্রদান পূর্বক সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করা, ইঞ্জিনচালিত নৌকা ও ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধ, উজানের তামাক চাষ নিষিদ্ধ, পেপার মিলস, ট্যানারি ও গার্মেন্টসের দূষিত বর্জ্য রি-সাইক্লিং-এর মাধ্যমে ডাম্পিং করা, পাহাড় কর্তন ও দিঘি ভরাট বন্ধ, হাটহাজারী পৌরসভা কর্তৃক অনুমোদিত বিলবোর্ড অপসারণ, বিগত নয় বছরের সরকার কর্তৃক উন্নয়নের বরাদ্দ শ্বেতপত্র আকারে জনগণের কাছে প্রকাশসহ বিভিন্ন দাবিতে সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কস্থ উপজেলার হালদা নদী সংলগ্ন সত্তারঘাট ব্রীজে বিশাল এক মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার মেখল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ক্রীড়া সম্পাদক আজম উদ্দিনের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আলহাজ্ব মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু।
বক্তারা দাবিগুলো দ্রুত পূরণের কথা উল্লেখ করে বলেন, বর্তমানে কিছু দুষ্ট লোক হালদা নদীকে ধ্বংস করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। পরিবেশ নষ্ট করে টাকার পেছনে দৌড়াচ্ছে। তাদের হুশিয়ারি দিয়ে বক্তারা বলেন, হালদা নদী ও হাটহাজারীর পরিবেশ রক্ষার্থে আমরা সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে মাঠে নামব, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। হালদা আমাদের গর্ব আমরা যে নদী দ্বারা আমরা গৌরবান্বিত তা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান না হলে হাটহাজারীকে অচল করে দেয়ার হুমকিও দেন বক্তারা।
মানবন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল বাহার, সাবেক ছাত্রনেতা এরশাদ হোসেন, শেখ গোলাম মোস্তফা, রিয়াজ মোর্শেদ, ইকবাল বাপ্পি, তাছলিম হায়দার, জহির উদ্দিন টিপু, মিজানুর রহমান প্রমুখ।