নিজস্ব প্রতিনিধি ।।
নৌকা মার্কার ভোট চাইতে নিকলীর উদীয়মান রাজনীতিক ও সমাজসেবক রুহুল কুদ্দুস ভূঞা জনি চট্টগ্রামে দুই দিনের সফর করে এসেছেন। গত শুক্র ও শনিবারের (২০ ও ২১ এপ্রিল) এই সফরে তিনি চট্টগ্রামে বসবাসরত নিকলী উপজেলার নানান শ্রেণী-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন।
চট্টগ্রামে বসবাসরত নিকলীবাসীর সহযোগিতায় গড়ে ওঠা সামাজিক সংগঠন “সেভ আওর সোসাইটি”র দেয়া সংবর্ধনায় আপ্লুত রুহুল কুদ্দুস ভূঞা বলেন, সফরকালীন চট্টগ্রামে আমার মনে হচ্ছিলো এক খণ্ড নিকলীর বুকেই রয়েছি। সকলের আতিথেয়তা আমি মুগ্ধ। এখানে পৌছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ দেখে চোখ ছলছল করে উঠলো।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি “সেভ আওর সোসাইটি”র পক্ষ থেকে মেধাবী, গরিব ও অসহায় মানুষের হাতে অনুপ্রেরণামূলক উপহার তুলে দেন। এ সময় তিনি সকলের কাছে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিতদের কাছ থেকে শৈশবের স্মৃতিচারণ শুনে তিনি বার বার আপ্লুত হন।
“আমাকে তারা এত ভালোবাসেন, এখানে না আসলে বুঝতেই পারতাম না। যেভাবে তারা আমাকে গ্রহণ করলেন এবং শৈশব থেকে এ যাবতকালের সকল স্মৃতি একে উপস্থাপন করলেন এই ভালোবাসার অভিব্যক্তি ভাষায় প্রকাশ করার নয়।” বলছিলেন নিকলী উপজেলার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইসহাক ভূঞার সুযোগ্য সন্তান রুহুল কুদ্দুস ভূঞা জনি।
মতবিনিময় পর্বে অংশ নেন হালিশহরে বসবাসরত কারপাশার আমিন উদ্দিন, দামপাড়ার মতিউর রহমান, জারইতলার ইয়াসিন, গুরুইয়ের লিটন, ছাতিরচরের কুদ্দুস, সিংপুরের ফাইজুল ইসলাম এবং নিকলী সদরের হাবু সরদার। অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে তারা বলেন, “হালিশহরে বসবাসরত নিকলীর বেশিরভাগ খেটে-খাওয়া মানুষের বসবাস। আমাদের খবরাখবর তেমন কেউ নেয় না। আপনি স্বেচ্ছায় আমাদের খবর নিতে আসায় আমরা কৃতজ্ঞ। আপনার বাবার মতো আমাদের সুখে-দুঃখে আপনাকে সবসময় পাশে পাবো এই আশা রাখি।”
মতবিনিময় শেষে বসবাসরত নিকলীবাসীদের নিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান। এ সময় তিনি কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী, পাহাড়তলীর কাউন্সিলর সাবের আলী সওদাগর এবং স্থানীয় জমিদার মিয়া সাব-এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। চট্টগ্রামে বসবাসকারী কর্মমুখী নিকলীবাসীদের সহযোগিতার জন্য স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে রুহুল কুদ্দুস ভূঞা ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের হালিশহরে নিকলী উপজেলার প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার লোকের বসবাস। প্রচলিত রয়েছে, হালিশহরে গেলে পরিচিত লোকজনের দেখা মিলায় মনেই হয় না এটি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা নয়; এটি দেশের দক্ষিণ প্রান্তের চট্টগ্রামের একটি শহর।