পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক গৃহবধূ ॥ বাড়িঘর ভাঙচুর, লোটপাটের অভিযোগ

সংবাদদাতা ।।
মামলা করে বিপাকে পড়েছেন এক গৃহবধূ। মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামিদের অব্যাহত হুমকিতে তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যগণ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের নিকলী-কিশোরগঞ্জ সড়কের স্টিলের ব্রিজসংলগ্ন কুমারহাটি গ্রামে।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকালে প্রতিবেশি আবদুল হাই (৬০)-এর নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০), জজ মিয়া (২৬), কবির হোসেন (৩০), জিয়াউর রহমান (২৮), নিয়াসা (৩৫), জসিম উদ্দিন (৩৫), বকুল (৩৬), দুলাল (২৫) ও সুলতান (২৪) দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জাহেদা বেগম (৪০)-এর বাড়িঘরে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় জাহেদা বেগমের স্বামী কাঠুরিয়া সুজন (৪৫), ছেলে সুমনকে (২২) কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তার বাড়িঘর ভাংচুর, আসবাবপত্র, আলমারী ভেঙ্গে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ অর্থ লোটপাট ও জাহেদা বেগমকে শ্লীলতাহানি এবং তার মেয়ে সাফিয়া আক্তারের বইপত্র ছিড়ে ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সুজন ও ছেলে সুমনকে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। জাহেদা বেগম ও তার মেয়ে সাফিয়া আক্তারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সোমবার ৩১ আগস্ট সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে জাহেদা বেগমের টিনের একটি বসতঘর ভাংচুর, আসবাপত্র ও বইপত্র বিভিন্ন স্থানে এলোমেলো পড়ে রয়েছে। জাহেদা বেগমের মেয়ে করগাঁও ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সাফিয়া আক্তার বলেন, আমরা বাড়ি যেতে পারি না, আমার বইপত্র ছিড়ে পানিতে ফেলে দিয়েছে এবং ৭দিন যাবৎ স্কুলেও যেতে পারছি না; বাড়িতে গেলে আমাদের মেরে ফেলবে এই ভয়ে। করগাঁও পশ্চিমপাড়া চাচা মন্নানের বাড়িতে থাকি। গৃহবধূ জাহেদা বেগম বলেন, আমার স্বামী ও ছেলে নিকলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরা আমার বাড়িঘর সব তছনছ করে দিয়েছে। আমি এই অপরাধীদের আসামি করে মামলা দেয়ার কারণে তারা হুমকি দিচ্ছে, আমাকে পেলে মেরে ফেলবে। আমাকে সহ আমার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি বর্তমানে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!