নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
লাগাতার কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কৃষকের মাঠের ফসল কাটা হলে তা তোলা হয় খলায় মাড়াই করার উদ্দেশ্যে। কৃষক ধান কেটে গোলায় উঠাতে ব্যস্ত হলেও তা হয়ে উঠেনি। অতিবৃষ্টির কারণে ধান কেটে খলায় আনা হলেও মাড়াই করে শুকাতে না পারায় ধানে চারা গজাচ্ছে।
১১ মে’র ঝড়ে হাওরবেষ্টিত থানা খালিয়াজুরী সদর থেকে হাওর পাড়ি দিয়ে আসা বৈদ্যুতিক লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশাল হাওরের কয়েক জায়গায় বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে যায় বলে জানা গেছে। তাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ।
বর্তমানে খালিয়াজুরী উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। ব্যবসায়ীগণ রেফ্রিজারেটরে রাখা বিভিন্ন দ্রব্য নিয়েও এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সংরক্ষিত মাছ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে কিষাণ কিষাণীরা দুশ্চিন্তায়। জমাট হয়ে থাকা দ্রব্যাদির বরফ গলে পানি।
ফলশ্রুতিতে যা হবার তাই। জিনিসপত্র সব নষ্ট। বর্তমানে এলাকার লোকজন আছেন একেবারে যোগাযোগবিহীন অবস্থায়। কোন খবরও শুনতে পারেন না। জরুরি যোগাযোগের ব্যবস্থা মোবাইল ফোনেও চার্জ নেই। তাই তারা পার্শ্ববর্তী সাল্লা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে আনেন।
আবার কারো কারো বাড়িতে সোলার সিস্টেম থাকায় সেটি দিয়েও তাদের কোনোরকম প্রয়োজন নিবারণ করা হচ্ছে।
জনপ্রতিনিধিগণ বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, যত শীঘ্র সম্ভব বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি এখন জরুরিভিত্তিতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা যেন করা হয়।