মাহমুদ আল আজাদ, হাটহাজারী প্রতিনিধি ।।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর ছুরিকাঘাতে কলেজ ছাত্রী ননদ খুন হয়েছে। শুক্রবার (১৮ মে ২০১৮) রাত ৯টার দিকে হাটহাজারী পূর্ব ধলই ৬নং ওয়ার্ড কাটিরহাট বাজারের পূর্ব পাশে বাকের আলী গোমস্তারের বাড়ির জাকির হোসেনের মেয়ে আফছানা পারভিন (২৩) বুলু চাচাতো ভাই খোরশেদের স্ত্রী নাছরিন আক্তারের সাথে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। আফছানা পারভিন কাটিরহাট মহিলা ডিগ্রী কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী। তিনি ৪ বোনের মধ্যে ৩য়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার এশার নামাজের সময় পারভিনের চাচাতো ভাই খোরশেদ নামাজ পড়তে চলে যায়। ঘরে কলেজ ছাত্রী ননদ পারভিন ও তার ভাবি টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে তর্কবিতর্ক ও কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। হঠাৎ ভাবি তাকে ছুড়ি দিয়ে প্রচণ্ড আঘাত করেন।
ঘরের চিৎকার শুনতে পেয়ে পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে নামাজরত মুসল্লিরা ছুটে আসেন। দ্রুততম সময়ে দু’জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাজিরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছুরিকাঘাতে আহত পারভিনকে মৃত ঘোষণা করেন ও গুরুতর আহত খোরশেদের স্ত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তবে ভাবি-ননদের মধ্যে গভীর সখ্যতা ছিলো বলেও জানা যায়। তারা সব সময় এক সাথে থাকতেন।
নাজিরহাট মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফুয়াদ মাহমুদ আবদুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান এবং তার শরীরে প্রায় ৬টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
এসআই পরেশ চন্দ্র সিকদার বলেন, কাটিরহাট ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ওসি স্যার সহ আমিও ফোর্স নিয়ে নাজিরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল নির্ণয় করার সময় নাভির ওপরে ছুরির ৬টি আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। এতে করে নিশ্চিত হয় যে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হতে পারে। পরিবারের সমস্যা থেকে ভাবি ননদকে ছুরিকাঘাত করেছে বলে শোনা গেলেও ভাবি করেনি বলে অস্বীকার করেছেন। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা দাখিলের প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।