খাইরুল মোমেন স্বপন, বিশেষ প্রতিনিধি ।।
নিকলীতে শনিবার (২৬ মে ২০১৮) রাতে গাঁজার আসরে সুরুজ আলী (২৮) নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে নিকলী থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো শেখ নবীনপুর গ্রামের অসিত দাস (৪০), দামপাড়া গ্রামের আবুল বাশার ( ২৮) ও মজলিশপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩২)। সুরুজ আলী উপজেলার জালালপুর গ্রামের আবদুল আলীর পুত্র।
এলাকাবাসি ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম শেখ নবীনপুরের গাঁজাসেবি অসিত দাসের বাড়িতে শনিবার রাতে সুরুজ আলী, মজলিশপুর গ্রামের মৃত আবদুল মোতালেবের পুত্র নজরুল ইসলাম, দামপাড়া গ্রামের এরশাদ আলী মাস্টারের পুত্র আবুল বাশার ও অজ্ঞাত কয়েকজন গাঁজা সেবন করে।
এক পর্যায়ে সুরুজ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সঙ্গিরা তাকে ফেলে চলে যায়। সুরুজ আলীর চাচা গোলাপ মিয়ার ভাষ্যমতে তার এক পরিচিত মোবাইল ফোনে তাকে সুরুজের মৃত্যুর ঘটনা জানায়। ঘটনা শোনার পরেই গোলাপ তার অপর ভাই দুলালসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে যায়। সুরুজকে নিথর অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে।
ভোরে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অনেক আগেই সুরুজের মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা করেন। নিকলী থানা পুলিশ অসিত দাসকে আটক করে। অসিতের ভাষ্যমতে সকালে দামপাড়া থেকে আবুল বাশার, দুপুরে মজলিশপুর থেকে নজরুল ইসলামকে আটক করে। নজরুল ইসলাম এবং আবুল বাশার এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং একাধিক মাদক মামলায় জেলখাটা আসামি। নিহত সুরুজও তাদের ইয়াবা ব্যবসার অংশীদার বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রটি আরো জানায়, পুলিশের কাছে আটক অসিত দাস গাঁজা সেবনের পর সুরুজের অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভাড়ায়চালিত মোটর সাইকেল চালক ও সুরুজের এক সময়ের সহকর্মী জানায়, সুরুজ ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাত। কিছুদিন যাবৎ সে মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িয়ে যায়।
সুরুজের শ্বশুর ভাটিবরাটিয়া গ্রামের শহিদ মিয়া জানান, সুরুজের কাছে আটককৃত নজরুল ও বাশার টাকা পেতো বলে শুনছি। কিন্তু কিসের টাকা তা আমার জানা নেই।
নিকলী থানার পুলিশ কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন ভূইয়া জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বুঝা যাবে সুরুজের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে।