মেয়র আনিসুল হক; বাংলাদেশের অন্যতম সফল মানুষ। ব্যক্তিগত জীবন থেকে প্রতিটা ক্ষেত্রেই সফল ছিলেন। মেয়র হিসেবে মেয়র আনিসের একটা উক্তি ছিল “যেখানে সমস্যা, সেখানে সমাধান।” সিটি কর্পোরেশনের সীমাবদ্ধতার মধ্যে এলাকার উন্নয়ন করার চেষ্টা।
মেয়র হিসেবে যেসব পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছিলেন। অনেকটা হয়েও ছিল। এসব কথা বলার একটাই কারণ, উনি একটা রাজনৈতিক দলের হয়েও অরাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন। দল-মতের উপরে ছিল ওনার কাজগুলো।
আমিও একজন উদীয়মান রাজনৈতিক নেতা, তবে সর্বমহলে প্রশংসারযোগ্য ব্যক্তির কথা লিখব। এখানে আমার ব্যক্তি স্বার্থ বা রাজনৈতিক কোন লালসা নেই। ভালো কাজের প্রশংসা করা নাগরিক হিসেবে আমার দায়িত্ব। যাতে কাজের ধারা অব্যাহত থাকে। আর সে দায়িত্ববোধ থেকেই বলছি।
সবাই তাকে চেনেন, জানেন। আমরাই তাকে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। যিনি তার মেধা ও বিচক্ষণতা দিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। অনেক ক্ষেত্রে সফলও হচ্ছেন। নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কারার শাহরিয়ার আহমেদ তুলিপ এমনই একজন ব্যক্তি। আমি তাকে এভাবেই দেখেছি।
শত বাধা থাকা সত্ত্বেও নিকলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন করার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি তার সাংগঠনিক দক্ষতা ও ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন “আমরা কুঁড়ি” তাকে সম্মাননা দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। যা দেখে আমরা কোরিয়া প্রবাসীরাও খুশি।
অনেক সীমাবদ্ধতাই থাকে, স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়, সবখানেই। তবু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নিজ এলাকার উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার। ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট সংকুলতা আছে। এলজিএসপি বাজেটই নিকলী ইউপির বাজেটের মূল উৎস। তাছাড়া বাজেটের তেমন বড় কোনো খাত নেই। তাই এই সীমাবদ্ধতার পুরোটা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন পর্যায় থেকে তিনি সমস্যার তথ্য সংগ্রহ করে জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় রেখে ধাপে ধাপে তা সমাধানে এগিয়ে চলেছেন। তার এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
শুধুমাত্র সমস্যা সমাধানে চেয়ারম্যানের ওপর নির্ভরশীল না থেকে সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমাদেরও নিজ থেকে কিছু ছোট সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে। আমাদের সকলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমস্যাই একদিন বড় হচ্ছে। তাই আমাদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করে নিকলী ইউনিয়ন পরিষদকে সমৃদ্ধ করি।
লেখক : দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী (নিকলী সদর)
rakhi.gopal4@gmail.com