আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে লোকবল-সংকট তীব্র। এতে ওই কার্যালয়ে বিভিন্ন কাজে আসা লোকজন ভোগান্তিতে পড়ছেন।
উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এই কার্যালয়ে একজন উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, একজন নিরীক্ষণ কর্মকর্তা (অডিটর), তিনজন জুনিয়র অডিটর, একজন মুদ্রাক্ষরিক ও একজন কর্মচারীর (এমএলএসএস) পদ আছে। ২০১২ সালের জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, একজন অডিটর, দুইজন জুনিয়র অডিটর, একজন মুদ্রাক্ষরিক ও একজন কর্মচারী বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। তিন বছর ধরে ওই পদগুলো শূন্য। বর্তমানে মিঠামইন উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মুঞ্জুর আহসান নিকলী উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নিকলীতে সপ্তাহে এক-দুই দিন অফিস করেন। এ কার্যালয়ে এখন জুনিয়র অডিটর আবুল কালাম আজাদ কর্মরত আছেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে ওই কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, কোনো লোক নেই। পাশের খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কর্মচারী বলেন, আবুল কালাম দুই দিনের জন্য ঢাকায় গেছেন। অন্যদের বলে গেছেন, কার্যালয়টি খোলা রাখার জন্য। এ সময় অফিসের সামনে দেখা হয় জারুইতলা ইউনিয়ন থেকে আসা এক নারীর সঙ্গে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই নারী বলেন, তিনি ১৫ দিন ধরে স্বামীর অবসর ভাতার টাকার চেক নেওয়ার জন্য ঘুরছেন। কিন্ত বড় স্যার না থাকায় তাঁর কোনো কাজ হচ্ছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, ওই কার্যালয়ে অবসর ভাতা, মাসিক বিলসহ অন্যান্য বিল-সংক্রান্ত কাজ সময়মতো করা যায় না। বিভিন্ন সময় কাজ নিয়ে এলে বলা হয় স্যার নেই। আগামীকাল আসেন।
জুনিয়র অডিটর আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি অফিসের কাজে দুই দিনের জন্য ঢাকায় এসেছি। আমি একা কীভাবে একটি কার্যালয় সামাল দেব?’
নিকলীতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী মিঠামইন উপজেলার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মুঞ্জুর আহসান মুঠোফোনে বলেন, সাতজনের জায়গায় একজনকে সব কাজ করতে হয়। ঢাকায় মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে লিখিতভাবে কর্মকর্তা ও অডিটর চাওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে জেলার মাসিক উন্নয়ন সভায় আলোচনা করা হবে।
সূত্র : প্রথম আলো, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫