আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।
হেক্সা মিশনের স্বপ্ন নিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে পা রাখে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করে মিশনের শুরুতেই হোঁচট খায় তারা। যদিও সেদিন বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফাউলের শিকার হয়েছিলেন দলের তারকা খেলোয়াড় নেইমার। সে ম্যাচ শেষে নেইমারকে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। যার কারণে পরের ম্যাচে তার খেলা নিয়ে সংশয়ে থাকে বিশ্বব্যাপী ব্রাজিল সমর্থকরা।
কিন্তু সকল সংশয় উড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে মাঠে নামেন তিনি। আর এতে করে স্বস্তি পায় ব্রাজিল সমর্থকরা। ম্যাচের ইনজুরি মিনিটে গোল দিয়ে নিজের ফিরে আসার আগমনী বার্তা দিয়ে রাখেন।
গতকালের ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে জয়ের পর সবই ঠিক ছিল কিন্তু রাতের ম্যাচে সুইজারল্যান্ড সার্বিয়ার বিপক্ষে জয় পাওয়ায় সব হিসেব নিকেষ উল্টে যায়। যদিও কোস্টারিকা দুই ম্যাচের দুটিতে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। তাই বাকি তিন দলেরই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ থাকছে।
দুই ম্যাচে এক জয় ও এক ড্র নিয়ে ৪ পয়েন্ট পেয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে সাম্বার দেশ ব্রাজিল। দুই ম্যাচ শেষে একই সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল গড়ে পিছিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে সুইজারল্যান্ড। অপরদিকে দুই ম্যাচে এক জয় ও এক পরাজয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে সার্বিয়া। যদিও এ গ্রুপ থেকে সার্বিয়াই সর্বপ্রথম কোস্টারিকাকে হারিয়ে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে গতরাতে তারা সুইসদের কাছে হেরে যায়।
আগামী ২৭ জুন রাত ১২টায় নোভগোরাদ স্টেডিয়ামে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নামবে কোস্টারিকা অন্যদিকে একই সময়ে মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের বিপক্ষে নামবে সার্বিয়া। ব্রাজিল যদি তাদের শেষ ম্যাচে সার্বিয়াকে পরাজিত করে তাহলে কোন প্রকার সমীকরণ ছাড়াই নক আউটে যাবে। তবে সেক্ষেত্রে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে যাবে নাকি রানার্সআপ হিসেবে যাবে তা নির্ভর করবে সুইজারল্যান্ড-কোস্টারিকা ম্যাচের ওপর। কারণ সুইসরা যদি কোস্টারিকাকে পরাজিত করে তাহলে ব্রাজিল ও সুইসদের পয়েন্ট সাত হবে। সেক্ষেত্রে গোল গড়ে যে এগিয়ে থাকবে সেই হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
ব্রাজিল সার্বিয়ার কাছে হেরে গেলে আর সুইসরা কোস্টারিকার বিপক্ষে জয় পেলে সুইসরা সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে। আর সার্বিয়া ছয় পয়েন্ট নিয়ে হবে গ্রুপের দ্বিতীয়। সেক্ষেত্রে ২০১৪ বিশ্বকাপের চতুর্থ স্থানধারী ব্রাজিলের বিদায় নিতে হবে।
কিন্তু ব্রাজিল-সার্বিয়া ও সুইজারল্যান্ড-কোস্টারিকা ম্যাচ যদি ড্র হয় তাহলে সুইজারল্যান্ড ও ব্রাজিল উভয় দলই নক আউট নিশ্চিত করবে। তখন উভয় দলের পয়েন্ট হবে পাঁচ। তাই গোল গড়ে যে এগিয়ে থাকবে সে দল হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
সূত্র : ব্রাজিলের জন্য শেষ ম্যাচের সমীকরণ [আরটিভি অনলাইন, ২৩ জুন ২০১৮]