কর্মক্ষেত্রে না হাসলে “চাকরি যাবে”

আমাদের নিকলী ডেস্ক ।।

কর্মক্ষেত্রে হাসছেন না? অথবা মেপে হাসছেন? বিপত্তি ঘটে যেতে পারে তাহলেই, হাসি একান-ওকান না হলে হারাতে হতে পারে চাকরিটাই। গোমড়ামুখো কর্মীদের বিদায় দিতে জাপানের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এমন উদ্যোগই নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের হাসি একেবারে মেপে নিচ্ছে সফটওয়্যার দিয়ে।

কর্মীরা কাজের সময় হাসছেন কিনা তা চোখে চোখে রাখতে ব্যবহার করা হবে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তিতে বানানো এই সফটওয়্যার।

ই-কামট্রু নামের প্রতিষ্ঠানটি গতমাসে তাদের কর্মতালিকা (ওয়ার্কলগ) ও কর্মীদের হাজিরা ব্যবস্থায় (অ্যাটেনডেন্স সিসটেমে) ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছিল। কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে আসার পর এবং কাজ শেষে চলে যাওয়ার সময় এই সিসটেমে মেপে দেখা হবে তাদের হাসি।

এমনকি প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা কাজের শুরুতে ও অফিস শেষে ‘চওড়া’ হাসিটুকু ধরে রাখতে পারছেন কি না তাও বুঝতে পারবে এই প্রযু্ক্তি।

একটি ট্যাবলেটে নিজের পরিচয় দেয়ার পর ওই কর্মীর তাৎক্ষণিক একটি ছবি ধারণ করে কোম্পানির তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে মিলিয়ে নেবে সফটওয়্যারটি। ছবি তোলার পর কর্মীর ঠোঁটের কোণা কতটুকু বিস্তৃত হলো তার ওপরই বোঝা যাবে কর্মীর ‘হাসিমুখ’ চেহারা। যত বেশি হাসিমুখ ততবেশি নম্বর দেয়া হবে কর্মীদের। ‘আপনার চেহারা যথেষ্ট হাসিখুশি নয়’- নম্বর অনেক কম হলে প্রতিষ্ঠান থেকে এমন কথাই জানিয়ে দেয়া হবে কর্মীকে। আর এর অর্থ হচ্ছে ওই কর্মী প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ হারাচ্ছেন।

প্রতিষ্ঠানটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, “কাজ শুরুর আগে এই সিস্টেমের ক্যামেরার সামনে হাস্যোজ্জ্বল মুখে দাঁড়াতে হবে। তাই এমন একটি সিস্টেম বার, রেস্তোরাঁ এবং অন্য সব সেবাদানকারী ইন্ডাস্ট্রিতেও চালু করা দরকার।”

ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য সান তাদের মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে এমন অভিনব ব্যবস্থা চালু করায় জাপানে ই-কামট্রু প্রতিষ্ঠানটিই প্রথম নয়। ২০০৯ সালে কেইহিং এক্সপ্রেস রেলওয়ে কোম্পানিও একইভাবে কর্মীদের হাসি মেপে নিত ফেসিয়াল রিকগনিশন অ্যালগোরিদমে।

সূত্র : না হাসলে ‘চাকরি নেই’  [বিডি নিউজ, ২৭ জুন ২০১৮]

Similar Posts

error: Content is protected !!