মাহমুদ আল আজাদ, হাটহজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ।।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে রাতারাতি অবৈধ বিলবোর্ড স্থাপন নিয়ে পৌর সদরে সধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে নানান প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। এ বিলবোর্ড দ্রুত উচ্ছেদের জন্য দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় পরিবেশবাদীরা। তবে সওজ কর্তৃপক্ষ অবৈধ বিলবোর্ড স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হাটহাজারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
জানা যায়, গত ২২ মার্চ গভীর রাতে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কের হাটহাজারী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে, মেখল রোড সংলগ্ন, হাটহাজারী বাসস্টেশন গোলচত্বর, শেরেবাংলা মাজার গেইট এলাকায় এ ৪টি স্পটে কে বা কারা অবৈধ বিলবোর্ড স্থাপন করেছে। এই বিলবোর্ড স্থাপনের হোতাদের এখনো পর্যন্ত বের করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ২২ মার্চ রাতে স্থাপন করলেও পরের দিন সওজ হাটহাজারী শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মংথুই মারমা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিবাদী করে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পাশাপাশি একটি অনুলিপি হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের বরাবরে প্রেরণ করা হয়। যেখানে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষার্থে বিলবোর্ড অপসারণ হচ্ছে সেখানে মহানগরীর পাশেই হাটহাজারীতে রাতারাতি কিভাবে বিলবোর্ড স্থাপন করা হচ্ছে। তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম নিচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। হাটহাজারী পৌর সহায়ক কমিটির সদস্য বশির আহমেদ বলেন, এলাকার পরিবেশ রক্ষার্থে এ বিলবোর্ড দ্রুত সরিয়ে নেয়ার দাবি জানান।
সওজ-এর হাটহাজারী শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মংথুই মারমা বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের আইনে অবৈধভাবে রাস্তা খনন করে বিলবোর্ড স্থাপনের কারো এখতিয়ার নেই। অবৈধভাবে রাস্তা খনন করে বিলবোর্ড স্থাপন করায় ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষার জন্য থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক আক্তার উননেছা শিউলী জানান, সরকারি জায়গার উপর অবৈধভাবে বিলবোর্ড স্থাপনের জন্য পৌরসভা কাউকে অনুমতি দেয়নি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে এ বিলবোর্ড সরিয়ে নেয়া হবে।